বেহালার সাবর্ণ রায়চৌধুরীর বাড়ির পাঁচিল দিতে পুলিসের নিরাপত্তার জন্য হরিদেবপুর থানা চেয়েছিল ১২ লাখ। একইসঙ্গে ৫ লাখ টাকা ঘুষ চাওয়ারও অভিযোগ উঠেছিল। আদালত রুল ইস্যু করেছিল। আজ রুল তুলে নিয়ে আদালতের নির্দেশ ১. সাবর্ণ রায়চৌধুরীর বাড়ির পাঁচিল দিতে হবে পুলিসি পাহারায়। ২. পুলিসকে দিতে হবে ২ লাখ। ৩. ভবিষ্যতে হরিদেবপুর থানাকে আরও সতর্ক থাকতে হবে।
আগুন ছাড়া ধোঁয়া হয় না। পুলিস অনেক সময় এই বিষয়ে সফট টার্গেট হয়। তবে সতর্ক থাকতে হবে হরিদেবপুর থানা ও কলকাতা পুলিসের সিপি-কে, মন্তব্য বিচাপতি রাজাশেখর মান্থার।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টে অভিযোগ জমা পড়েছিল, ওই পাঁচিল তোলার সময় পুলিস নিরাপত্তা দিতে দু'মাসের জন্য প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা চেয়েছে! ওসির বিরুদ্ধে ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ চাওয়ারও অভিযোগ করা হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, মামলাকারীকে পুলিসি নিরাপত্তা দিতে হবে। খরচ বহন করবে মামলাকারী নিজে। এই ঘটনায় হাইকোর্ট পুলিস কমিশনারের কাছে হলফনামা তলব করেছিল। আজ আদালতে পুলিসের পক্ষের আইনজীবী জানান, তিনটি শিফটে ২০ জন পুলিস থাকবে ২৪ ঘণ্টার জন্য। ১৮ কাঠা জমিতে পাঁচিল দেবে মালিক।
বিচারপতি তখন বলেন, পুলিস তার দায়িত্ত্ব থেকে সরে এল? টাকা নিয়ে সমস্যা বলে নিরাপত্তা দিল না পুলিস? এটা কি পুলিসের মানায়? ১২ লাখ কেন? এই মূল্য ধার্য হল কিসের ভিত্তিতে? দুই লাখ নিন, কাজ শেষ করে দিন।
পুলিসের পক্ষে আইনজীবী অমিতাংশু ব্যানার্জি বলেন, কলকাতা পুলিসের গাইডলাইন মেনে স্থির হয়ছে মূল্য। আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন, ২ লাখও অনেক। আমরা এক লাখ দিতে পারব।
বিচারপতি তখন জানিয়ে দেন, পুলিস আপনার সঙ্গে দর কষাকষির জন্য আসেনি। আদালত মূল্য ঠিক করেছে।