সিট গঠনের পরেই ভবিষ্যতের রণকৌশল ঠিক করতে বিশেষ বৈঠকে বসল সিবিআই। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার যুগ্ম অধিকর্তা এন বেণুগোপাল বৈঠক সারলেন বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্যদের সঙ্গে। সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্ত কোন পথে এগোবে, তা নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এসএসসির নিয়োগ ও প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের জন্য সিট গড়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সিটের তদন্তের নজরদারিতে থাকবেন যুগ্ম অধিকর্তা এন বেণুগোপাল। নেতৃত্ব দেবেন এসপি রাজীব মিশ্রা। এছাড়াও থাকছেন ধরমবীর সিং, এএসপি, সত্যেন্দর সিং, ডিএসপি, এ সি ঋষিনামল, ডিএসপি, সোমনাথ বিশ্বাস, ইন্সপেক্টর, মলয় দাস, ইন্সপেক্টর এবং ইমরান আশিক, ইন্সপেক্টর।
শুক্রবার সিট গঠনের পরেই সন্ধ্যায় বৈঠকে বসেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাতে এফআইআরগুলি নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তদন্তে কী কী উঠে এসেছে, কী করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত, কাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে- এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেই সিবিআই সূত্রে খবর। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়েও প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে প্রাথমিক টেট মামলায় প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। সেই মামলায় তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। তিনি সেদিন প্রশ্ন তুলেছিলেন, গত নভেম্বর থেকে সিবিআইয়ের কাজের কোনও গতি নেই কেন? সারদা, নারদার মতো পরিণতি যাতে এই মামলার না হয়, সে ব্যাপারেও তিনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন।
বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় সেদিনই নির্দেশ দিয়েছিলেন, সিবিআই এই মামলার তদন্ত করবে এবং একটা সিট গঠন করবে। দক্ষ ১২-১৩ জন অফিসারদের নিয়ে তৈরি হবে ওই সিট। কারা থাকছেন সেই সিটে, তার তালিকা আদালতে আগামী শুক্রবার জমা করতে হবে। এই সিটে একজন জয়েন্ট ডিরেক্টরকে থাকতে হবে। যিনি এই সিটকে নেতৃত্ব দেবেন। যতদিন এই কেস চলবে, সিটের সদস্যদের ট্রান্সফার করা যাবে না।
আদালত সেদিন পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিল, সিবিআইয়ের কাজে খুশি নয়। প্রাইমারি নিয়োগ দুর্নীতিতে সাতদিন আগে রায় হয়েছে। কিন্তু উচ্চ প্রাথমিকের রায় আরও আগে হয়েছে। কোনও লাভ হয়নি। তদন্তের গতি শ্লথ। তারা দ্রুত কাজ করুক। সাধারণ মানুষ স্বচ্ছ তদন্তের অপেক্ষায় আছে। সিবিআইকে আদালত সেই দায়িত্ব দিয়েছে।
সেই গুঁতোতেই এবার নড়েচড়ে বসল সিবিআই।