রাজ্য পুলিসের (State Police) তদন্তে আস্থা নেই। তাই সিবিআই (CBI) তদন্ত চেয়েছিলেন হাওড়ার পাঁচলা থেকে ৪৯ লক্ষ টাকা সহ গ্রেফতার হওয়া ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) তিন কংগ্রেস বিধায়ক (Congress MLA)। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই আবেদন খারিজ করে দিল হাইকোর্ট। কারণ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, অপরাধীরা কখনও তদন্তকারী সংস্থা বেছে নিতে পারে না।
রাজ্য পুলিস রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাজ করে। ভরসা নেই তাদের উপর। তাই তদন্তের ভার দেওয়া হোক সিবিআইয়ের উপর, এই আবেদন জানিয়েছিলেন ওই তিন বিধায়ক। তারই শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চে।
বিধায়কদের পক্ষের আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথ্রা বলেন, পাঁচলা থানা বিধায়কদের গ্রেফতার করল। কিন্তু তাঁদের কথা শোনা হল না। সম্পূর্ণ ভুল অভিযোগে এঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া ঝাড়খণ্ডের এফআইআর। পশ্চিমবঙ্গের পুলিসের কোনও অধিকার নেই এঁদের গ্রেফতার করার।
উত্তরে রাজ্য জানায়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই মামলা। গ্রেফতারের পর জামিনের আবেদন করা হল না। অথচ তদন্তকারী সংস্থা বদলাতে চাইছেন তিন বিধায়ক। এক্ষেত্রে এফআইআর হয়ছে রাঁচি থেকে। কলকাতায় মামলা আসে ৩০ জুলাই। এফআইআর আপলোড হয় ১ আগস্ট। হাওড়া পলিসের কাছে খবর আসে, একটা গাড়ি করে প্রচুর টাকা পাচার করা হচ্ছে ঝাড়খণ্ডের উদ্দেশে। কলকাতা থেকে আসছে গাড়ি। তাতেই পাওয়া গেল ৪৯ লক্ষ টাকা। গ্রেফতার হল ওই গাড়িতে থাকা ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ক। এফআইআরের ভিত্তিতেই প্রতারণা ও আর্থিক দুর্নীতির মামলা রুজু হয়েছে। সব শোনার পর বিচারপতি জানিয়ে দেন, সিআইডি যেমন তদন্ত করছে, করবে।