উত্তর শহরতলির সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগের অন্যতম ভরকেন্দ্র হল টালা ব্রিজ। ২০১৮-এর ৪ সেপ্টেম্বর ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট ব্রিজ। এরপরই শহরের বিভিন্ন ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করায় রাজ্য সরকার। সেই পরীক্ষায় শহরতলির সঙ্গে কলকাতার অন্যতম যোগসূত্র টালা ব্রিজের স্বাস্থ্যে গলদ ধরা পড়ে। এরপরই ২০২০-র ৩১ জানুয়ারি মাঝরাত থেকে টালা ব্রিজে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুরু হয় ব্রিজ ভাঙার কাজ। সূত্রের খবর, নতুন টালা ব্রিজ ৮০০ মিটার লম্বা এবং ১৯ মিটার চওড়া। চার লেনের ব্রিজ তৈরির কাজ চলছে।কোভিডের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও দিনরাত চলছে সেতুর কাজ।
টালা ব্রিজের নিচ দিয়ে গিয়েছে রেল লাইন। তার উপরে ব্রিজের অংশের কাজের জন্য রেলের থেকে অনুমতির প্রয়োজন ছিল। নবান্ন সূত্রে খবর, গত বছর ৯ ডিসেম্বর অনুমতি দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। রেলের ছাড়পত্র পাওয়ার পর শুরু হয়েছে কাজ। রেলওয়ে ট্র্যাকের উপরে প্রধান পিলারগুলিতে গার্ডার খাড়া করার কাজ চালু করা হচ্ছে।
প্রধান পিলারগুলিতে প্রাথমিকভাবে সিআরএস অর্থাৎ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির থেকে ছাড়পত্রের অভাবে যথেষ্ট বিলম্বিত হয়েছিল। এবার ছাড়পত্র মেলায় গত বছর ১০ই ডিসেম্বর থেকে পুরোদমে কাজ শুরু হয় এবং পিডব্লুডি-র প্রধান প্রকৌশলীদের দ্বারা নিরীক্ষণ করা হয়। ট্রাফিক বন্ধের অনুমতি দেওয়া হয়েছে রেলওয়ের এই গুরুত্বপূর্ণ সেতুর জন্য স্তম্ভের উপর গার্ডার স্থাপন এবং নির্মাণের কাজ করে। প্রকল্পটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সম্পন্ন করার জন্য সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
টালা ব্রিজ ভেঙে ফেলায় অসুবিধার মুখে পড়েন উত্তর কলকাতা ও শহরতলির মানুষজন। যান চলাচলের জন্য বিকল্প দুটি রাস্তা তৈরি হয়। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে কাশীপুরের লকগেট ব্রিজ হয়ে ডানলপগামী গাড়ি চলাচল করছে। আবার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে শ্যামবাজার, আরজিকর রোড হয়ে গাড়ি চলছে।
কাজ দ্রুতগতিতে চলছে, এখন অপেক্ষা টালা ব্রিজ কবে চালু হয়, তারই।