প্রেসিডেন্সি জেলের(Presidency jail) ২ নম্বর সেলে রাত্রিবাস করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেল সূত্রে খবর, আজ সকালেই ঘুম থেকে উঠে পড়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বাটার টোস্ট দিয়ে প্রাতঃরাশ(breakfast) সেরেছেন। এই সেল পয়লা বাইশ-ওয়ার্ড নামেও পরিচিত ছিল। এই ওয়ার্ডের পাশের সেলে রয়েছেন জঙ্গলমহলের নেতা ছত্রধর মাহাত(Chatradhar Mahato) ৷ অন্য পাশে রয়েছেন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মধ্যে মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালানো কুখ্যাত জঙ্গি আফতাব আনসারি(Aftab ansari)৷ আছেন আফতাব ঘনিষ্ঠ জামালউদ্দিন নাসের। এছাড়া রয়েছেন বেশ কয়েকজন মাওবাদী নেতা(maoist leader)।
সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁকে জেলে নিয়ে আসার পরে প্রেসিডেন্সি জেলের ওয়ার্ড অফিসে(ward office) বেশ কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়। খাতায় কলমে জেল বন্দি হিসাবে তার নাম নথিবদ্ধ হয়৷ এরপর জেলের চিকিৎসকরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন৷ এরপর তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেলের 'পয়লা বাইশ' ওয়ার্ডের দু'নম্বর সেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়।
জেলে কোনও অতিরিক্ত সুবিধা(extra advantage) দেওয়া যাবে না বলেই ইতিমধ্যেই আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরটের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে যে সেলে রাখা হয়েছে সেখানে কোনও চেয়ার বা খাট নেই৷ রাতে মেঝেতেই কম্বল পেতে শোওয়ার ব্যবস্থা। জেল সূত্রে খবর তাঁকে মোট চারটি কম্বল দেওয়া হয়েছে। বালিশ নেই৷ ফলে কম্বল মাথায় দিয়েই শুতে হবে। তবে এই সেলের শৌচালয়ে কমোড আছে। ঘরে একটা সিলিং ফ্যান রয়েছে। সাধারণ বন্দিদের মতোই রাখা হয়েছে।
সেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য অতিরিক্ত রক্ষীর ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। ইডি হেফাজতে থাকাকালীন যে সব জামা-কাপড়, ওষুধ ব্যবহার করতেন তা জেল কর্তৃপক্ষকে দিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। রাতে রুটি ও সবজি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে ৷ হালকা ঘুমিয়েছেন রাতে।