দুজনেই আগের বৈবাহিক সম্পর্ক থেকে সরে এসেছেন। দুজনের ভিন্ন পরিচিত জায়গা রয়েছে। তবে এমন সোচ্চারভাবে ভালোবাসার উদযাপন করতে বেশ কমই দেখেছে এই বাংলা। কখনও কখনও কদর্য আক্রমণে ভরে তুলেছে নেটাগরিকরা। সেই সব কটাক্ষকে একবাক্যে শোভন-বৈশাখী বলেছেন, থোড়াই কেয়ার। একজন অধ্যাপিকাকে স্রেফ শোভন-বান্ধবী আখ্যা পেয়ে যেতে হয়েছে অনেক কাল। আবার শোভন চট্টোপাধ্যয়কেও এমন রাজনৈতিক সক্রিয়তা থেকে সরে যাওয়া নিয়ে কম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি।
তবে গোটা পৃথিবীর সমস্ত কটাক্ষকে দূরে সরিয়ে রেখে, ভালোবাসার জয়ধ্বনি দিয়ে গিয়েছেন শোভন-বৈশাখী। গতকাল রবিবার শোভন-বৈশাখীর সুখের ফ্ল্যাটে জমিয়ে জামাইষষ্ঠী পালন হল। বিশেষ দিনে বিশেষ ভূমিকায় দেখা গেল বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সাধারণত শাশুড়িরা জামাই বরণ করেন। বৈশাখী বলেছেন, এই দায়িত্ব তাঁর মায়ের হলেও মায়ের কথামতো তিনিই আজ সব আয়োজন করেছেন।
বৈশাখীর কথায়-''জামাইষষ্ঠী মানেই হল মা ষষ্ঠীর পুজো। মায়ের নির্দেশমতো সবটা আয়োজন করা হয়েছে। মায়ের কাছে শোভন জামাইয়ের থেকে ছেলে বেশি। মায়ের শরীরটা ঠিক নেই। তবু তিনি সব কিছুর আয়োজন করেছেন আমাদের তিনজনের জন্য।''
ভাজাভুজি থেকে মুগের ডাল, পনিরের বাহারি পদ থেকে ধোকার ডালনা, ইলিশ থেকে চিংড়ি, কচি পাঁঠা থেকে শুরু করে হরেক কিসিমের মিষ্টি। কী না ছিল মেনুতে! সেই সব চেটেপুটে খেলেন শোভন-বৈশাখী এবং বৈশাখী-কন্যা মহুল। সেই ছবিই নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছেন বৈশাখী।