চাকরি পেয়ে ভুলে যাননি সহযোদ্ধাদের লড়াইয়ের কথা। তাঁদের চাকরির দাবিতে ফের অবস্থানমঞ্চে ফিরে এলেন সদ্য চাকরি পাওয়া শিক্ষিকা সোমা দাস। ক্যান্সার আক্রান্ত সোমা দাসের কথা প্রথম তুলে ধরেছিল সিএন। যা নজর এড়ায়নি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। এই খবর দেখার পরে সোমা দাসের চাকরির বিষয়টিতে আলাদাভাবে গুরুত্ব দেন বিচারপতি। রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেন, মারণ রোগে আক্রান্ত সোমা দাসের চিকিৎসার জন্য বিপুল অর্থের প্রয়োজন। আর সেই বিপুল অর্থের জোগানের জন্য যোগ্য প্রার্থী সোমা দাসের চাকরির প্রয়োজন। তাই সরকারকে সোমা দাসের চাকরির বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেইমতো সোমা দাসকে নিয়োগপত্র দেয় সরকার। বীরভূমের নলহাটির বাড়ির কাছেই একটি স্কুলের শিক্ষিকা হিসেবে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন কর্কট রোগে আক্রান্ত সোমা দাস। কিন্তু যাঁদের সঙ্গে তিনি আন্দোলন করছিলেন, তাঁদের নিয়োগ এখনও করেনি সরকার। নিজে চাকরি পেলেও চাকরির দাবিতে সহযোদ্ধাদের আন্দোলনের পাশে আজীবন থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন সোমা নিজেই। সেইমতো মঙ্গলবার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের ধর্ণা মঞ্চে ফের দেখা গেল সোমাকে। সহযোদ্ধাদের সঙ্গেই স্লোগানে গলা মেলালেন তিনি।
তাঁর কথায়, আমি চাকরি পেয়েছি ঠিকই, কিন্তু আমার লড়াই শেষ হয়ে যায়নি। আমার লড়াই ছিল আমার সমস্ত সহযোদ্ধাদের নিয়োগ। সেই সঙ্গে যাঁরা যাঁরা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাঁদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া। যতক্ষণ না এই দুটো দাবি পূরণ হচ্ছে, ততক্ষণ চাকরি পাওয়াটাও তাঁর কাছে খুব একটা আনন্দের নয়। আর সেই কারণেই সহযোদ্ধাদের সঙ্গে অবস্থানমঞ্চে ফের দেখা গেল সোমাকে।
অবস্থানমঞ্চে সোমা দাসকে পেয়ে আপ্লুত বাকি চাকরিপ্রার্থীরা। সোমা দাসের চাকরিতে খুশি সকলেই। সেই সঙ্গে নবম-দ্বাদশ এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগ সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। সেক্ষেত্রে সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ জটিলতার সমাধানে যেভাবে নিজেকে মুশকিল আসান বলেছেন, ঠিক সেভাবে মুশকিল আসান হয়েই তাঁদের যন্ত্রণার নিরসন করা হোক। দাবি এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের।