Share this link via
Or copy link
দক্ষিণেশ্বরে পুলিসকে লক্ষ্য করে গুলি (Dakhineswar Firing)। ডাকাত (Dacoity) দল ধরতে রহড়া থানা দক্ষিণেশ্বর আদ্যাপীঠের এক গেস্ট হাউসে অভিযান চালালে দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম এক সিভিক ভলান্টিয়ার। রহড়া এলাকায় ৩৪ লক্ষ টাকা ডাকাতি এবং পুলিসকে লক্ষ্য করে এই গুলি চালানোর ঘটনায় গ্রেফতার তিন। ধৃতরা মহম্মদ সনু, আখতার আলী এবং পারভেজ আখতার। জানা গিয়েছে, এই ধৃত তিন দুষ্কৃতী কামারহাটি লুটবাগান এলাকার বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, রহড়ার এলাকায় কয়েক দিন আগে ৩৪ লক্ষ টাকা ডাকাতি হয়েছিল। সেই ডাকাত দলের তিনজন দক্ষিণেশ্বরের গেস্ট হাউসে লুকিয়ে ছিল। পুলিস গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাদের ধরতে দক্ষিণেশ্বরের ওই গেস্ট হাউসে হানা দেয়। তাঁদের কাছে ছবি দেখে একজনকে চিহ্নিত করেন হোটেলের কর্মীরা। এরপরেই ২০৯ নম্বর রুমে গিয়ে দরজায় নক করে পুলিস। তখনই ঘরের দরজা খুলেই গুলি চালায় ডাকাত দল। তাতে সিভিক ভলান্টিয়ার মহম্মদ রেজাউলের কুচকিতে গুলি লাগে। এরপরে অন্য পুলিসকর্মীরা ঢুকে তিনজনকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার করে। রেজাউলকে প্রথমে রথতলার এক নার্সিংহোম এবং পড়ে বাইপাসের ধারে এক নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এই ঘটনায় দক্ষিণেশ্বর আদ্যাপীঠের মতো জনবহুল এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন সাধারণ মানুষের। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, ৭ মিমি পিস্তল থেকে পুলিসকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের ডিসি সাউথ জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৪টা নাগাদ দক্ষিণেশ্বরের এক গেস্ট হাউসে অভিযান চালায় রহড়া থানা। তাদের কাছে খবর ছিল, রহড়া থানা এলাকায় ডাকাতিতে অভিযুক্ত একটি দল সেই গেস্ট হাউসে আশ্রয় নিয়েছে। সেই গেস্ট হাউসে গিয়ে পুলিস প্রথমে দু'জন আসামিকে গ্রেফতার করে। তিন নম্বর আসামিকে অন্য ঘরে ঢুকে গ্রেফতার করতে গেলে সে পুলিসকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আমাদের এক সহকর্মীর পায়ের উপরের অংশে গুলি লেগেছে। তিন জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এবং গুলি উদ্ধার করেছে পুলিস।
স্থানীয়দের অভিযোগ, 'যে গেস্ট হাউসের এই ঘটনা, সেই গেস্ট হাউস এখন রেস্ট হাউস। কোনও নজরদারি, নিরাপত্তা নেই। প্রতি দুপুরে মুখে কাপড় জড়িয়ে অনেকেই এলাকার একাধিক গেস্ট হাউসে আসেন। তারা কারা, দেখার কেউ নেই। আদ্যাপীঠ, দক্ষিণেশ্বরের মতো এলাকায় গেস্ট হাউসগুলোকে গেস্ট হাউস হিসেবেই ব্যবহার করা হোক। এই ঘটনায় পুলিসের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব চূড়ান্ত।'