গোটা বিশ্বকে পথ দেখাল আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। যে কোনও ধরনের সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্তের দেহ ব্যবচ্ছেদ করা হয় প্যাথলজিক্যাল পোস্টমর্টেম অথবা medicological পোস্টমর্টেমের মাধ্যমে। কিন্তু যে সব চিকিৎসক এই ধরনের পোস্টমর্টেম করতে যান, তাঁদেরও এই অজানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অর্থাত তাঁদের এরোসল স্প্রেড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এবার এই অজানা রোগে আক্রান্ত হওয়া আটকাতে একটি বিশেষ পদ্ধতি আবিষ্কার করা হল। প্যাথলজিক্যাল পোস্টমর্টেম অথবা medicological পোস্টমর্টেমের নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করলেন আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডঃ সোমনাথ দাস। এই পদ্ধতি অনুসারে পোস্টমর্টেম করলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে বলে জানিয়েছেন ডঃ দাস।
ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিতে প্রকাশিত হয়েছে এই বিশেষ পদ্ধতির কথা। সেখানে নাম রয়েছে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডঃ সোমনাথ দাসের। এবার এই বিশেষ পদ্ধতি গোটা বিশ্বের হাসপাতালে ব্যবহৃত হবে অজানা সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্তের মৃত্যুর পর প্যাথলজিক্যাল পোস্টমর্টেম অথবা medicological পোস্টমর্টেমের জন্য।
ইতিমধ্যেই এই পদ্ধতিতে ১৭ টি প্যাথলজিক্যাল পোস্টমর্টেম করা হয়েছে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। গোটা বিশ্বজুড়ে যত ধরনের সংক্রামক ব্যাধি রয়েছে, একেবারে প্রথম সময়ে তা বোঝা কোনওভাবে সম্ভব হয় না। কীভাবে সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ, এটা জানতে গেলে প্যাথলজিক্যাল পোস্টমর্টেম অথবা medicological পোস্টমর্টেম করতে হয় বলে জানান ডঃ সোমনাথ দাস।