১৮ এপ্রিল, ২০২৪

Shopping: পুজোর বাজার ঝিমিয়ে, পিছনে কি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস?
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-09-16 12:11:04   Share:   

প্রসূন গুপ্ত: একসময়, সেই ৭০-এর খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন হতো নানা জামা কাপড় থেকে জুতো।  এছাড়াও পাওয়া যেত বাড়ির প্রয়োজনীয় দ্রব্যের প্রচার। এই বিজ্ঞাপন কিন্তু চলেছিল দীর্ঘদিন ধরে। তখন মানুষের হাতে টাকা ছিল, বিভিন্ন সংস্থা কর্মীদের পুজো বোনাস দিতো, যা ছিল বাধ্যতামূলক। এ রাজ্যে যেমন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বিক্রিবাট্টা হতো তেমনই অন্য প্রদেশে দীপাবলিকে কেন্দ্র করে একই ঘটনা ঘটতো। পুজোর অন্তত একমাস আগে থেকেই কেনাকাটা শুরু হয়ে যেত। শুধুমাত্র নিজের পরিবারের জন্য নয়, আত্মীয়স্বজনের জন্যও কাপড়জামা কেনা হতো। তখনকার দিনে বাজারে জামাকাপড় থেকে জুতোর দোকানে প্রবল ভিড় এবং প্রায় লাইন দিয়ে নিজেদের পছন্দের সামগ্রী কিন্তু বঙ্গ সন্তানরা। রবি ঠাকুরের কবিতাতেও এর বিবরণ পাওয়া যায়। কিন্তু প্রচার করে বিক্রিবাট্টার জমানা আসে ওই ৬০ ৭০-এর দশকের মধ্যে। 

এই সেদিনও পুজোর বাজার হতো ধুমধাম করেই। এই বিক্রি কমতে শুরু হয়েছে বছর ছয়েক ধরে। ক্রমাগত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে মানুষ দিশেহারা। খাবে না, বাজার করবে? এরই মধ্যে করোনার দাপট সারা বিশ্বের অর্থনীতির বাজারকে অসহায় করে দিয়েছে। গত ৩ বছর ধরে হালহকিকত খুব খারাপ। লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মহীন। হাতে টাকা নেই তাই বিকিকিনিতে মন নেই।

বিশ্ববাজারে এক্সপোর্ট এবং পাল্লা দিয়ে ইমপোর্ট নিদারুন কমে গিয়েছে। আন্তঃদেশীয় বাজারে কেনার মানুষ ৫ থেকে ১০ শতাংশ। উৎপাদন বাড়ানোর প্রশ্ন নেই, যেহেতু গ্রাহক বাড়েনি। যে কারণে গত দু'বছরে চাকরি খুইয়েছে বহু মানুষ, ব্যতিক্রম নয় এই বাংলাও।

দরিদ্র মানুষের ক্রয় ক্ষমতা চলে গেলে অর্থনীতিতে ধাক্কা আসবেই। এবার নিদারুন ভাবে বিক্রি কমে যাওয়ার করুণ দৃশ্য লোকের চোখে পড়ছে। প্রত্যেক জিনিসের দাম অন্তত ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ বেড়েছে পক্ষান্তরে মানুষের উপার্জন বাড়েনি। এই অভাব আজ মধ্যবিত্তকে ছুঁয়ে ফেলেছে। এর থেকে মুক্তি কোথায়?


Follow us on :