দমকল বিভাগে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় সময় চাইল পাবলিক সার্ভিস কমিশন। সময় চাওয়ার জন্য দশ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কমিশনকে, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী তিন সপ্তাহ নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশও জারি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেও তারা সময় চেয়েছিল। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সময় চাওয়ায় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ওপর ওই কস্ট ধার্য করেন বিচারপতি। স্টেট লিগ্যাল সার্ভিসকে এক সপ্তাহের মধ্যে দিতে হবে ক্ষতিপূরণ। আগামী তিন সপ্তাহ পর মামলার শুনানি। ততদিন কোনও নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া করা যাবে না। চার সপ্তাহ এই অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে, নির্দেশ বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের।
এর আগেও দমকলে নিয়োগ-দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সেই সময়ও কলকাতা হাইকোর্টে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী এক সপ্তাহ সময়ের আবেদন জানান। তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবারই ছিল মামলার পরবর্তী শুনানি।
উল্লেখ্য, শিক্ষার পর দমকল বিভাগে নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে কয়েকদিন আগে। আর তার জেরে ওই বিভাগে প্রায় ১৫০০ পদে নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। দমকল বিভাগে প্রায় ১৫০০ পদে অপারেটর নেওয়ার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল রাজ্য। ২০১৮ সালে লিখিত পরীক্ষা হয়। মামলাকারীদের অভিযোগ, দুটি প্রশ্ন ভুল ছিল। এমনকি, যদি দু'জন প্রার্থী একই নম্বর পান, তাহলে যাঁর মৌখিক পরীক্ষায় নম্বর বেশি, তাঁকে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের একাধিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে বলে আদালতে অভিযাগ জানানো হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ওই স্থগিতাদেশ। এদিন সেই মেয়াদ আরও বেড়ে গেল।
অন্যদিকে, এই মামলায় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী প্রদীপ রায়কে সরিয়ে দেয় কমিশন। নতুন আইনজীবী নিয়োগ হন আভ্রতোষ মজুমদার। এতেই ক্ষুব্ধ আইনজীবী প্রদীপ রায় সংবাদ মাধ্যমের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের কাছে অভিযোগ জানান। দাবি করেন, সংবাদ মাধ্যমের ভুল খবরের জন্য তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি এই মামলায় আদালতবান্ধব হতে চান। তাঁর এই আবেদন খারিজ করেন বিচারপতি ট্যান্ডন।