একাধিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অবস্থানে নেমেছেন বহু হবু শিক্ষক-শিক্ষিকা। তবে কোথাও সুরাহা মিলছে না, এমনটাই অভিযোগ তাঁদের। ২০১৬ সালে প্রেস ক্লাবের (press club) সামনে বসেও মেলেনি সুরাহা। ফের অবস্থান-বিক্ষোভে সামিল কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা (work education and physical education) বিভাগের চাকরিপ্রার্থীরা।
২০২২ সালে প্রেস ক্লাবের সামনে দীর্ঘ ২৯ দিন অনশন করার পর কোনও সদুত্তর না পেয়ে ফের শহিদ মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে দ্বিতীয় পর্যায়ে অবস্থান-বিক্ষোভে সামিল কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা বিভাগের প্যানেলভুক্ত চাকরিপ্রার্থীরা। সঙ্গে চলছে ১০ দিনের অনশন। আদালতের অনুমতি নিয়ে ৭ দিন ধরে অবস্থান-বিক্ষোভে এবার তাঁরা পথে নেমেছেন। তাঁরা জানান, তাঁদের বিষয়ে কোনও আইনি জটিলতা নেই। তবুও সরকার তাঁদের নিয়োগ করছে না। তাই তাঁদের একটাই দাবি, দ্রুত হোক তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া।
এরই মধ্যে তাঁদের ৪ জন আজ কালীঘাটে (kalighat) গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন জমা দিতে। কিন্তু অভিযোগ, সেখানে কর্মরত পুলিস আধিকারিকরা তাঁদের উপর চড়াও হয় এবং তাঁদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত চাকরির দাবিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ৬ জন প্রার্থী। তবে অভিযোগ, সেখানে ছিল না কোনও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা। ফলে তাঁদের কর্তব্যরত পুলিসের গাড়িতে করে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়।
অসুস্থতার পরও বেশ কয়েকজন প্রার্থী অনশন মঞ্চেই শুয়ে থাকেন। বাকি প্রার্থীরা সেবা করছেন তাঁদের। অর্থাৎ শারীরিক অবস্থা খারাপ হলেও আন্দোলনে বদ্ধপরিকর সকলেই। মূলত তাঁদের দাবি, স্কুলগুলিতে তাঁদের নিয়োগ করতে হবে। আর তা যদি না হয়, তাহলে তাঁরা এখানেই থাকবেন। তাতে যদি তাঁদের প্রাণহানিও হয়, তাতেও রাজি তাঁরা। তবুও অনশনে অনড়।