Share this link via
Or copy link
৮৪ ঘণ্টার ধর্না তুলতে সময় লাগলো মাত্র ১৫ মিনিট। শুক্রবার মধ্যরাতে চ্যাংদোলা করে, টেনে-হিঁচড়ে ধর্নায় বসা চাকরিপ্রার্থীদের (TET 2014) ভ্যানে তোলে বিধান নগর পুলিস (Bidhannagar Police)। যদিও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই মাইকিং শুরু করে পুলিস। ১৪৪ ধারা জারি থাকা জায়গা থেকে সরে যেতে চাকরিপ্রার্থীদের হুঁশিয়ারি দেয় বিধান নগর কমিশনারেট। সেদিন দুপুরেই হাইকোর্ট (Calcutta High Court) নির্দেশ দিয়েছিল, ১৪৪ ধারা কার্যকর রাখতে পদক্ষেপ নেবে পুলিস। পাশাপাশি পর্ষদ অফিসে যাতে কর্মীদের ঢুকতে এবং বেরোতে অসুবিধা না হয় নিশ্চিত করবে পুলিস।
যদিও ধর্না সরানো নিয়ে টুঁ শব্দ করেনি আদালত। তারপরেই কোর্ট নির্দেশকে হাতিয়ার করে আসরে নামে বিধান নগর কমিশনারেট। বিকেলের পর থেকে করুণাময়ী এবং এপিসি ভবনের মাঝে বাড়তে থাকে পুলিস। শুরু হয় মাইকিং। ইতিমধ্যেই সন্ধ্যা বাড়লে একের পর এক অনশনকারী অসুস্থ হতে শুরু করে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে সরলেও অনেকেই সহযোদ্ধাদের পাশে থাকতে অসুস্থ শরীরেই ধর্নাস্থলে থেকে যান। ক্রমেই রাত বাড়ে। আন্দোলনের ধারা পরিবর্তন করেন চাকরিপ্রার্থীরা।
অবশেষে রাত ১২টার পর সক্রিয় হয় পুলিস। প্রথমে ধর্নাস্থল ছাড়তে দু'মিনিট সময় দেওয়া হয় চাকরিপ্রার্থীদের। সেই আবেদনে কাজ না হওয়ায় ধর্নাস্থলে ঢুকে বল প্রয়োগ শুরু করে পুলিস। প্রায় ৫০ ঘণ্টার বেশি সময় অনশনে থাকা ক্লান্ত-শ্রান্ত চাকরিপ্রার্থীদের টেনেহিঁচড়ে-চ্যাংদোলা করে পুলিসের বাসে তুলে বিধান নগরের তিন থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, এসব চাকরিপ্রার্থীরা ফের ফিরে যাবেন মাতঙ্গিনী হাজরার পাদদেশে। সেখানেই অবস্থান মঞ্চে কালো ব্যাজ করে বিক্ষোভ দেখাবেন চাকরিপ্রার্থীরা। একইসঙ্গে পুলিসের এই হামলার প্রতিবাদে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে এই ধর্নায় নেতৃত্ব দেওয়া তিন চাকরিপ্রার্থীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সংবাদ মাধ্যমের সামনে এই অভিযোগ করেন তাঁদের সহকর্মীরা। যদিও বৃহস্পতিবার রাতেই ঘোষণা হয়েছে, 'শান্তিপূর্ণ অনশনে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের বল প্রয়োগ করে পুলিসি বাসে তোলার প্রতিবাদে শুক্রবার থেকেই আন্দোলনে নামছে বাম-বিজেপি-কংগ্রেস।' বড়সড় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে করুণাময়ী, শিয়ালদহ এবং হাওড়ায় মোতায়েন হয়েছে অতিরিক্ত পুলিস।