Share this link via
Or copy link
বেআইনি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Case) ইডির হাতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখার্জির (Partha and Arpita) জেলা হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল। ১৪ ডিসেম্বর অবধি এই দু'জনকে জেলেই থাকতে হবে। বুধবার এই মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে বিস্ফোরক দাবি করেছে ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় সংস্থার আদালতে অভিযোগ, 'বিভিন্ন প্রাইভেট ল’ কলেজ ও বি-ফার্ম কলেজ খোলার ক্ষেত্রে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে এই সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে। আর্থিক দিক থেকে লাভবান হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।' এরপরেই এই দু'জনকে একমাসের জন্য হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে ইডি।
বুধবারের এই শুনানিতে বিচারকের প্রশ্ন, 'এত লম্বা হেফাজতের আবেদন কেন? ১৪-১৫ দিনের হেফাজত নয় কেন? আপনারা তদন্তের জন্য হেফাজত চেয়েছেন ভালো কথা। কিন্তু তদন্ত ঠিক কতটা এগিয়েছে?' ইডির আইনজীবীর পাল্টা জবাব, 'আমরা ৩০ দিন কেন একমাসের হেফাজত চাইতে পাড়ি, আদালত স্থির করবে কতদিন দেওয়া হবে। ডাকাতি হয়েছে সেটা খুঁজতে সময় লাগবে। তাই এতো সময় লাগছে। তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। প্রচুর লোকের কাছে টাকা গিয়েছে, প্রচুর শেল কোম্পানি খোলা হয়েছে। সেগুলোর কী হবে? কেউ কি আর নিজে থেকে বলবে আমার এখানে টাকা রাখা আছে, যাও নিয়ে নাও। সবাই বেনামে টাকা রাখে।
এই টাকা কত লোকের মধ্যে গিয়েছে? কত জন এর সঙ্গে জড়িয়ে? ৪৮ কোটি টাকা সঙ্গে বেশ কিছু সম্পত্তিও যুক্ত আছে এই ঘটনায়। কিছু বেসরকারি ল কলেজ আর ফার্মাসিস্ট দের এনওসি দিয়ে পার্থবাবু আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে। যে কেউ এই ঘটনায় জড়িয়ে থাকতে পারে সেটাই তদন্ত করছি।' পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, 'সিডিতে সবটা দেওয়া আছে। আমরা মানিক ভট্টাচার্যকে ধরেছি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর মানিক ভট্টাচার্য যোগসাজশ করে এত বড় আর্থিক তছরূপ করেছে।