ওয়ারেন্ট (Warrant) ছাড়াই কিভাবে বিরোধী দলনেতার অফিসে তল্লাশি (Raid) চালানো হল? এই অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের (High Court) দ্বারস্থ হলেন শুভেন্দু অধিকারী। মামলা করার অনুমতি চাওয়া হল বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চে। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিলেন বিচারপতি। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি (Hearing)।
উল্লেখ্য, তল্লাশির নামে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের অফিসে পুলিসের দাদাগিরির অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় এসডিপিও, তমলুক সাকিব আহমেদ ও আইসি, তমলুক। তাঁদের নেতৃত্বেই নাকি বিশাল পুলিসবাহিনী গিয়ে তল্লাশির নামে সেই অফিসকর্মীদের হেনস্থা (Harrasment) করেছে এবং বচসায় জড়িয়েছে। এমনটাই অভিযোগ বিজেপির।
জানা গিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারীর নির্বাচনী এজেন্ট মেঘনাদ পালের স্ত্রীর নামে অভিযোগ রয়েছে তমলুক থানায়। সেই মর্মে প্রথমে মেঘনাদ পালের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়েছিল পুলিস। সেখানে বাড়ির লোক হেনস্থা করে বলে প্রশাসনের অভিযোগ। এরপর শুভেন্দু অধিকারীর নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের নন্দনায়েক বাড়ের কার্যালয়ে তল্লাশির নামে পুলিস গিয়ে অফিসকর্মীদের হেনস্থা করেছে বলে বিজেপির পাল্টা অভিযোগ।
এদিকে, এই সংক্রান্ত ভাইরাল ভিডিও নিজের হ্যান্ডেলে ট্যুইট করে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, 'কোনও পূর্ব সূচনা না দিয়ে, কোনও সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই এবং ম্যাজিস্ট্রেটের অনুপস্থিতিতে, আচমকা মমতার পুলিস (পশ্চিমবঙ্গ পুলিস) আমার নন্দীগ্রামের বিধায়ক কার্যালয়ে অনধিকার প্রবেশ করে। মমতা সরকারের পুলিসের এই জঘন্য অপব্যবহার বিরোধী দলনেতার প্রতি এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের প্রমাণ।' পাশাপাশি সেই ট্যুইটে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, রাজ্যপাল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে উল্লেখও করেন।
এই অভিযোগ এবার গড়াল হাইকোর্টে।