মৌসুমী বায়ু আরও খানিকটা অগ্রসর হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর, মিজোরাম ও নাগাল্যান্ডে প্রবেশ করেছে। ধীরে ধীরে দুদিনের মধ্যে উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমে প্রবেশ করবে। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে, দুদিনে বর্ষা প্রবেশ করলেই বৃষ্টি বাড়বে। আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গেও ঝড়বৃষ্টি হবে। এরই মধ্যে রবিবার জামাইষষ্ঠী। বাঙালিদের ঘরে ঘরে উত্সবের মেজাজ। তবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মূল্যবৃদ্ধি। প্রতিনিয়ত মূল্যবৃদ্ধিতে টান পড়েছে বাঙালির হেঁশেলে।
এদিন মাছ বিক্রেতারা জানান, এমনিতেই বাজারে মাছের জোগান কম। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দাম চড়া রয়েছে যে কোনও মাছেরই। এরইমধ্যে জামাইষষ্ঠী উপলক্ষ্যে দাম আরও কিছুটা বেড়েছে। অন্যদিকে সরকারি নিয়ম অনুসারে মাছে ডিম হয়ে গেলে মাছ ধরা বন্ধ করতে হয়। সেজন্য মাছের জোগান কম। সমুদ্র থেকে আসছে না পর্যাপ্ত মাছ। সামুদ্রিক মাছ ধরা শুরু হলেই আবার জোগান স্বাভাবিক হবে। প্রতি বছর এই সময় জোগান কম থাকে। ঝড়-বৃষ্টি না হওয়ায় লোকাল মাছের জোগানও কমে গিয়েছে। ফলে ক্ষতি হচ্ছে তাঁদের ব্যবসাতেও।
অন্যদিকে ক্রেতারা জানান, বর্তমানে অনেক কম বাজারে ভিড়। মূল্যবৃদ্ধিতে নাজেহাল অবস্থা। কিন্তু জামাইদের পছন্দের মাছ তো কিনতেই হবে। তাই পরিমাণে অল্প হলেও কিনতে হচ্ছে মাছ।
শনিবার গড়িয়াহাট বাজারে কেজি প্রতি মাছের দাম ছিল এইরকম- কাতলা ৪৫০ টাকা, তোপসে ৮০০ টাকা, বাংলাদেশি ইলিশ ১৫০০, চিংড়ি ৪০০ ছোট, বড় ৮০০ টাকা, ভেটকি ৫০০-৫৫০ টাকা, পাবদা ৫০০ টাকা, ট্যাংরা ৭০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৭০০ টাকা।
অন্যদিকে মানিকতলা বাজারে ইলিশ ১৪০০ টাকা, খয়রা ইলিশ ২৫০ টাকা, চিংড়ি ৫০০/৩৫০ টাকা, কাতলা ৩০০ টাকা, ট্যাংরা ৪০০-৫০০ টাকা, পাবদা ৩০০-৪০০ টাকা।