পল্লবীর পর বিদিশা, মাঝে মাত্র ১০ দিনের ব্যবধান। নাগেরবাজারের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ(body)। ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধছে। ঘটনায় উঠে আসছে সায়নদীপের নাম। কিন্তু কে এই সায়নদীপ। যদিও বিদিশার মা জানিয়েছে সায়নদীপ ওর রুমমেটের(roommate) বয় ফ্রেন্ড(boy friend) ছিল।
পুলিস সূত্রে জানা গেছে, নাগেরবাজারের ফ্ল্যাটে গত দেড়মাস ধরে ভাড়া থাকতেন মডেল(model) অভিনেত্রী বিদিশা। বাড়ির মালিক দিলীপবাবু জানান সায়দীপই প্রথমে তাঁকে জানান বিদিশাকে ডাকাডাকি করেও কেনও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। শারীরিক অসুস্থতার কারণে দিলীপবাবু উপরে উঠতে চান নি প্রথমে। তারপর তিনি সায়নদীপের কথায় উপরে উঠে দেখেন বিদিশার ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। এরপরই তারা নাগেরবাজার থানার পুলিসকে খবর দেন। পুলিস এসে দরজা ভেঙে বিদিশার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। বিদিশার বাড়ি কাঁকিনাড়ার নারায়ণপুর এলাকার টালিখোলায়। সে কাঁকিনাড়ার রাজলক্ষ্মী স্কুলে লেখাপড়া করেছে।
প্রশ্ন উঠছে তাহলে সায়নদীপ কি সব জানত? সেই সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিস। তাই সায়নদীপ ও বিদিশার বন্ধু অনুভবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গেছে, একটি বেসরকারি অ্যাপের মাধ্যমে তাঁর বাড়ির তিনতলার দুটি রুম ফাঁকা আছে বলে বিজ্ঞাপন দেন। তখন সায়নদীপই দিশা ও বিদিশাকে এই ঘরের খোঁজ দিলে তারা থাকতে শুরু করে। আরও জানা গেছে বিদিশা সায়নদীপের সঙ্গে মাঝেমাঝেই বেরোত। বাড়ির মালিকের কাছে সায়নদীপ ও বিদিশার দুজনেরই আধার কার্ড রয়েছে। কিন্তু বিদিশার আধার কার্ড তার কাছে নেই।
সায়নদীপের সঙ্গে কি বিদিশার কোনও কথা হয়েছিল? খতিয়ে দেখছে পুলিস।
অন্যদিকে বিদিশাকে নেটমাধ্যমে শেষ বার অনলাইন দেখিয়েছে বুধবার ভোরে। তারপর আর ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপে অনলাইন দেখা যায়নি মডেল বিদিশা দে মজুমদারকে। তবে বিদিশা তার সঙ্গী ছাড়া বাঁচতে পারবে না বলে বন্ধুদের সোশ্যাল মাধ্যমে জানায়। তবে পুলিস ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্কের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে। বিদিশার এক বান্ধবী জানায়, অনুভব বেরার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বিদিশার। কিন্তু অনুভব অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে জানতে পেরে ভেঙে পড়ে। অনুভব পেশায় জিম ট্রেনার।
তবে পেশাগত অনিশ্চয়তা, ডিপ্রেশন, নাকি অন্য কোনও টানাপোড়েন, কী কারণে মৃত্যু হল বিদিশা দে মজুমদারের? রহস্যের জট খুলতে বিদিশার কললিস্ট খতিয়ে দেখছে পুলিস।
খবর শোনা মাত্র কাঁকিনাড়ায় শোকের ছায়া। ভালো মেয়ে ছিল বলে অনেকেই জানিয়েছেন। মায়ের একটাই আর্তি ও কেন আমাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেল।