Share this link via
Or copy link
বন্দি রয়েছে সংশোধনাগারে। নাম সুশান্ত কীর্তনিয়া। কিন্তু তার নাম করেই পূর্ব কলকাতার এক মহিলার কাছে আসছে হুমকি-ফোন। অভিযোগ, ওই মহিলাকে ফোন করে বলা হচ্ছে, তাঁর পরিবারের ক্ষতি করে দেওয়া হবে। তোলাও চাওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিস আদালতের কাছে আবেদন করে, যাতে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দি সুশান্ত কীর্তনিয়াকে নিজস্ব হেফাজতে নিয়ে শুরু করতে পারে তদন্ত। সেই মোতাবেক সুশান্তকে ব্যাঙ্কশাল আদালত সাতদিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এরপরই ধৃত সুশান্তকে জেরা শুরু করেছে পুলিস।
কিন্তু কিভাবে জেলবন্দি থাকাকালীন তাঁর কাছে ফোন এল? যেখানে দাঁড়িয়ে কোনও সংশোধনাগারেই এই ধরনের কোনও পরিষেবা মেলে না।
এখন প্রশ্ন, তাহলে কি জেলের অন্দরেই কয়েদিদের ওপর নজরবন্দির অভাব রয়েছে? জেলের মধ্যে থেকে যদি একজন খুনের আসামি এভাবে ফোন করে হুমকি দেয়, তাহলে তো জেলের ভিতর থেকে এর থেকেও বড় কিছু ঘটতে পারে। তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?
তার উত্তর খুঁজছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। যে পরিবারের কাছে এই ফোন গেছে, তাঁরা এই ফোনের জেরে রীতিমতো আতঙ্কিত রয়েছেন।
সুশান্ত কীর্তনিয়া ২০২০ সালে একটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত। গত দুবছর তিনি জেলবন্দি। বাড়ি অজয়নগরে।