বউবাজারে (boubazar) একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা দেওয়ায় সাময়িকভাবে মেট্রোর (metro) কাজ বন্ধ ছিল। এরপর গতকাল রাত থেকে ফের শুরু হয়েছে কাজ। আজ সকালেও চলেছে মেট্রোর কাজ। আতঙ্কিত (panic) পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষজন। ঘরছাড়া বহু মানুষ। মেট্রো কর্তৃপক্ষের তত্পরতায় বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্থানীয় একটি হোটেলে (hotel)। বেলা বাড়লে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) সহ পুলিস প্রশাসন। তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এরপর মন্ত্রী জানান, বিষয়টি নিয়ে চিফ সেক্রেটারি লেভেলে কথা হবে। বিষয়টি জানানোও হয়েছে। মেট্রোরেল এবং কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ থাকবে। বৈঠকে থাকবে কলকাতা পুলিস (kolkata police) ও পুরসভাও। নতুন করে যে সমস্ত বাসিন্দাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বা ফাটল দেখা দিয়েছে তাঁদের ক্ষতিপূরণের বিষয়েও আলোচনা করা হবে।
এছাড়াও কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের ৩ জন আধিকারিক ঘটনাস্থলে এসে অ্যাসেসমেন্ট করেন। ডিজি বিল্ডিংয়ের নেতৃত্বে এক্সপার্ট কমিটিও গঠন করা হয়। কোন বাড়িগুলিতে ফাটল ধরেছে, তা খতিয়ে দেখতেই মূলত এই কমিটি। মেট্রোরেলের গাফিলতি রয়েছে বলেই জানায় এই কমিটি।
কেএমসি বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিক শান্তনু বড়াল জানান, এখনও পর্যন্ত তাঁরা ১৪ টি বাড়িতে ফাটল দেখেছেন দুর্গা পিতুরি লেনের। সব কটি বাড়ির অবস্থাই খারাপ। যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। বাড়ির বাসিন্দাদের পাশাপাশি বাড়িতে থাকা পাখির খাঁচা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে, বাসিন্দাদের নতুন ঠিকানায়।
অন্যদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই ইস্যুতে সরাসরি আঙুল তুললেন শাসকদলের দিকে। তিনি জানান, বউবাজারের বাড়িতে ফাটলের জন্য কোনওভাবেই মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। মেট্রো যে নকশা তৈরি করেছিল, সেটি বদলে দিয়েছিল তৃণমূল সরকার। তাড়াহুড়ো করতে গিয়েই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।