পাভলভ মানসিক হাসপাতালের প্রশাসনিক কাঠামোতে রদবদল হতে চলেছে। এখন আর পাভলভ হাসপাতালে সুপার বলে কোনও পদ থাকবে না, স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে এমনটাই খবর। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি ডঃ অর্ঘ্য মৈত্রের হাতেই দেওয়া হতে পারে পাভলভ হাসপাতালের প্রশাসনিক দায়িত্ব। অন্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মতো এখানেও ডেপুটি সুপার এমএসভিপির নিয়ন্ত্রণে থাকবেন। পাভলভের সমস্ত কিছুর প্রধান থাকছেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি। এছাড়াও পাভলভ হাসপাতালের আর্থিক বিষয় নিয়ন্ত্রণ করবেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অ্যাকাউন্টস অফিসার।
স্বাস্থ্য ভবনের সূত্রে খবর, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সঙ্গে পাভলভের সংযুক্তিকরণে রয়েছে পদ্ধতিগত জটিলতা। যার ফলে এতদিন পাভলভ হাসপাতালের প্রশাসনিক কাজ দেখতেন সুপার গণেশ প্রসাদ। এছাড়াও চিকিৎসা ও মেডিক্যাল এডুকেশনের বিষয়টি দেখতেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাইকিয়াট্রি বিভাগের প্রধান সৃজিত ঘোষ।
২০১৪ সালে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল পাভলভ হাসপাতালকে। কিন্তু তা পরে আর কার্যকর হয়নি। এখন অপেক্ষা নবান্নের সবুজ সংকেতের। যেমন এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাথে সংযুক্ত রয়েছে বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স, রামরিক এবং পুলিস হাসপাতাল, স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, নির্দেশিকা জারি হলে তেমনই হতে পারে পাভলভের ক্ষেত্রে। পাভলভ হাসপাতালকে জুড়ে দেওয়া হতে পারে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সঙ্গে। এই সংক্রান্ত প্রস্তাব ইতিমধ্যেই গতকালের বৈঠকের পর পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে। এখন শুধু অপেক্ষা নবান্নের সবুজ সংকেতের।
রাজ্যের প্রথম সারির মানসিক হাসপাতাল পাভলভের সুপারকে শো-কজ করেছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। গত ১০ জুন শো-কজ করা হয়েছিল হাসপাতালের অনিয়মের বিরুদ্ধে। ১০ দিনের মধ্যে উত্তর জানানোর কথা ছিল। সেইমতো গত সোমবার ২১ জুন বিকালে শো-কজের জবাব দেন পাভলভ সুপার। কিন্তু শো-কজের উত্তরে সন্তুষ্ট নন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। কারণ যে যে বিষয়ের উপর শো-কজ করা হয়েছিল, সেই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।