২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Gardenreach: পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে ১৭ কোটি! গাজিয়াবাদে কলকাতা পুলিসের হাতে ধৃত মূল অভিযুক্ত
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-09-24 16:06:49   Share:   

গার্ডেনরিচে (Gradenreach ED) পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে প্রায় ১৮ কোটি (cash recovery) টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ধৃত মূল অভিযুক্ত। আমির খান নামে ওই অভিযুক্তকে গাজিয়াবাদ (Ghaziabad) থেকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিস। শনিবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয়েছিল। এদিকে, পার্থ-অর্পিতার ঘটনার পর আমির খানের বাড়ি থেকেও প্রায় ১৮ কোটি টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। ট্রাঙ্কে ভরে সেই টাকা পাঠানো হয়েছিল এসবিআই ব্যাঙ্কে। কিন্তু এই ইডি অভিযানের সময় থেকেই নিখোঁজ ছিলেন আমির। অনলাইন গেমিংয়ের ফাঁদ পেতে প্রতারণা চক্র খুলেছিলেন পরিবহণ ব্যবসায়ী আমির। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানতে পেরেছে ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, গা ঢাকা দেওয়ার পর একাধিকবার সিম বদলিয়ে পুলিসকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন আমিরত খান। ইতিমধ্যে মোমিনপুরের বাসিন্দা জুনেইদ নামে এক ব্যক্তির যোগসূত্রে অর্থ উদ্ধার-কাণ্ডে উঠে এসেছে। তবে এই ঘটনায় পুলিসের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ একটি ব্যাঙ্ক এক বছর আগে পার্ক স্ট্রিট থানায় প্রতারণার অভিযোগ জানালেও কোনও পদক্ষেপ হয়নি। এমনকি গার্ডেনরিচ থানার ঢিল ছোড়া দূরত্বে মূল অভিযুক্তর বাড়ি। যে বাড়ি থেকে ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে ইডি। কীভাবে এই বিপুল নগদ সম্পর্কে অন্ধকারে ছিল পুলিস? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 

যদিও কেন্দ্রীয় এই সংস্থা নয়, বরং কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা শাখা। অপরদিকে, ১০ সেপ্টেম্বর গার্ডেনরিচে পরিবহণ ব্যবসায়ী নিসার খানের ছেলে আমির খানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে ১৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা। ইডির কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী, মোট ১৯৭টি অ্যাকাউন্টে গেমিং অ্যাপ থেকে তোলা টাকার লেনদেন হত। ভিনরাজ্যের বহু বাসিন্দাকে টাকা দিয়ে তাঁদের অ্যাকাউন্ট ভাড়া করার তথ্যও সামনে এসেছে। যাঁদের নামে এই অ্যাকাউন্টগুলি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল তাঁদের সন্ধান এই মুহূর্তে চালাচ্ছে ইডি।

প্রাথমিকভাবে ইডি পাঁচটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে। যেখানে রাখা হয় প্রায় ৪৮ কোটি টাকা। এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে সোমবার অ্যাকাউন্টগুলি ও তার নথি পরীক্ষা করবেন ইডি আধিকারিকরা। এই গেমিং অ্যাপ থেকে তোলা কালো টাকা সাদা করতে বাবার পরিবহণ ব্যবসায় কি বিনিয়োগ করেছিল আমির খান? সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেনা ইডি আধিকারিকরা। তাই তদন্তকারীদের রাডারে রয়েছে এই পরিবহণ ব্যবসাও।

প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত আমিরের বিরুদ্ধে রয়েছে ৪৭ কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ। জানা যায়, পার্কস্ট্রিট থানায় আগেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে একটি ব্যাঙ্ক। অভিযোগ অনুসারে, সাড়ে ১৭ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে ইতিমধ্যে। তাহলে বাকি সাড়ে ২৯ কোটি টাকা কোথায়? ব্যাঙ্ক থেকে কি সব টাকা তুলে নিয়েছিল আমির? সব টাকা তুলে না নিলে বাকি টাকা কোথায়? তাহলে কি সেই টাকা নিয়ে পালিয়েছে আমির? প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজছে ইডি। 


Follow us on :