২০১৯ সালের ২ সেপ্টেম্বরের পর ২০২২ সালের ১১ মে। ধরন একই। মেট্রোরেলের কাজের জন্য বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনের বহু বাড়িতে ফাটল ধরেছে। ইতিমধ্যেই আশঙ্কাজনক বাড়িগুলির বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু ঠিক কতগুলি বাড়ি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে, কতগুলি বাড়ি অবিলম্বে ভেঙে ফেলা প্রয়োজন, এই সংক্রান্ত সমীক্ষা চালানোর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে। মঙ্গলবার তারা সমীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিল কলকাতা পুরসভায়। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ৯ টি বাড়ির অবস্থা খুব খারাপ। সেগুলি সম্পূর্ণ বা আংশিক ভাঙতে হতে পারে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রাথমিক রিপোর্টে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সমীক্ষকরা জানাচ্ছেন, ৯ টি বাড়িতে ফাটল প্রচুর। ওই বাড়িগুলির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, যা মেরামতযোগ্য নয়। আরও ৯ টি বাড়ি, যেগুলি সম্পূর্ণ না হলেও বিভিন্ন অংশ ভেঙে দিতে হবে। তবেই ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। সব মিলিয়ে ১৮টি বাড়ি চিহ্নিত করেছেন সমীক্ষকরা। যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, তা প্রাথমিক পর্যায়ের সমীক্ষার রিপোর্ট। আরও কয়েক ধাপে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তরফে সমীক্ষা চলবে। তাতে সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলতে হবে, এমন বাড়ির সংখ্যা যেমন বাড়তে পারে, তেমনি আংশিক ভাঙতে হতে পারে, এমন বাড়ির সংখ্যাও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।
সোমবার সকালে বউবাজার এলাকার দুর্গা পিতুরি লেনে কলকাতা পুরনিগমের বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে যৌথভাবে বাড়িগুলি খতিয়ে দেখেন যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়াররা। সম্প্রতি দ্বিতীয়বারের জন্য মেট্রো বিপর্যয় হয়েছে বউবাজার এলাকায়। বেশ কয়েকটি বাড়ি ঘটনার পরেই ভেঙে ফেলে কেএমআরসিএল। এরপর ওই এলাকার বাকি বাড়িগুলির স্বাস্থ্য খতিয়ে দেখতে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে কেএমআরসিএল, পুলিশ বৈঠক করে। ঠিক হয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে সমীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হবে। সেই অনুসারে যাদবপুরের তরফ থেকে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা করা হয়েছে।