ঝাড়খণ্ডের এক আইনজীবীকে বিপুল নগদ অর্থসহ গ্রেফতার করল হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিস। ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের পর এবার ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট রাজীব কুমারকে কলকাতায় বিপুল নগদ অর্থসহ গ্রেফতার করা হয়। কলকাতা পুলিসের এআরএস বিভাগ তাকে হ্যারিসন স্ট্রিটের ব্যবসায়িক কমপ্লেক্স থেকে গ্রেফতার করে। সূত্রের খবর, অ্যাডভোকেট রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। জনস্বার্থ মামলা প্রত্যাহারের জন্য ১০ কোটি টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগে সোমবার গ্রেফতার হন ঝাড়খণ্ডের আইনজীবী। তবে শুধু তোলাবাজি করার জন্যই এই ১০ কোটি টাকা তিনি চেয়েছিলেন, নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ ছিল, তা জানতে তদন্তে পুলিস।
জানা গিয়েছে, কলকাতার এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে রাঁচি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা চলছিল। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিয়ে ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি-অফিস এবং বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশির হুমকি দিয়ে দশ কোটি টাকায় রফা করতে বলেন রাঁচির আইনজীবী। যদিও শেষ পর্যন্ত ১ কোটিতে রাজি হন তিনি। কলকাতার গোয়েন্দা বিভাগের এক আধিকারিক জানান, "ধৃতের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত আইনজীবী কলকাতার এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে রাঁচি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলা প্রত্যাহারের জন্য তিনি প্রথমে ব্যবসায়ীর কাছে ১০ কোটি টাকা দাবি করেছিলেন। আলোচনার পরে তিনি তাঁর দাবির পরিমাণ নাকি কমিয়ে ৪ কোটি করেন। পরে ১ কোটি টাকায় রফা হয় পুরো মামলা।"
রবিবার টাকা নেওয়ার সময় হাতেনাতে ওই আইনজীবীকে পাকড়াও করে কলকাতা পুলিসের হেয়ার স্ট্রিট থানার আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, এই আইনজীবী ঝাড়খণ্ড সরকারের বিরুদ্ধে মনরেগা সংক্রান্ত মামলা লড়ছেন। এই মামলাতেই ইডি প্রাক্তন খনি সচিব পুজা সিংহলকে গ্রেফতার করেছিল।
ঝাড়খণ্ড পুলিসের খবরের ভিত্তিতে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিস ও লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের গুন্ডা দমন শাখার আধিকারিকরা ওই ব্যক্তির সন্ধান শুরু করেন। তারই ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।