২০ এপ্রিল, ২০২৪

Rashid: গাড়ি আটকে, থানায় ডেকে পুলিসের বিরুদ্ধে রশিদ খানের পরিবারকে হেনস্থার অভিযোগ
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-12-07 21:14:59   Share:   

কলকাতা পুলিসের (Kolkata Police) বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগে সরব পণ্ডিত রশিদ খানের স্ত্রী। প্রগতি ময়দান থানার ব্যবহারে বীতশ্রদ্ধ গায়কের পরিবার, এমনটাই জানা গিয়েছে। খবর, রশিদ খানের গাড়িকে বেলেঘাটা ট্রাফিক গার্ডে (Beleghata Traffick Guard) আটকানো হয়। হেনস্থা করা হয় গায়কের গাড়ির চালককে। লাইসেন্স কেড়ে চালককে প্রগতি ময়দান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ডেকে পাঠানো হয় রশিদ খানের (Rashid Khan) স্ত্রী জয়িতা বসু খানকে। থানায় চরম দুর্ব্যবহারের মুখে পড়েন জয়িতা দেবী। এখানেই শেষ নয়। এরপর নাকি পণ্ডিতজিকে ডেকে পাঠিয়ে দুর্ব্যবহার করে প্রগতি ময়দান থানা। সরাসরি এমনটাই অভিযোগ প্রগতি ময়দান থানার বিরুদ্ধে করেছেন রশিদ খানের স্ত্রী। এমনকি ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট থানার বিরুদ্ধে।

ঠিক কী হয়েছিল মঙ্গলবার রাতে? ক্যালকাটা নিউজকে জয়িতা বসু খান বলেন, 'মঙ্গলবার খান সাহেবের এক অনুষ্ঠানের পর রাত সওয়া দুটো নাগাদ বাড়ি ফেরেন। তারপর পণ্ডিতজির কয়েকজন সহশিল্পীকে বিমানবন্দরে ছাড়তে যায় আমাদের একটি গাড়ি। সেই গাড়িকে বেলেঘাটা ট্রাফিক গার্ডে আটকানো হয়। পরপর অনেকগুলো গাড়ি, বাইক দাঁড় করানো ছিল, তাঁদের থেকে ঘুষ-টাকা নেওয়া হচ্ছিল। গাড়ির ভিতর থাকা পণ্ডিতজির সহশিল্পীকে উবের করে এয়ারপোর্ট পৌঁছতে হয়।' 

তাঁর অভিযোগ, 'আমাদের গাড়ির রেজিস্ট্রেশন চেক করার পর যখন উস্তাদজির নাম আসে, তখন দু'হাজারের জায়গায় ছয় হাজার টাকা দাবি করে পুলিস। আমাদের ম্যানেজার যখন বলে টাকা নেই, তখন ড্রাইভারের থেকে জোড় করে লাইসেন্স কাড়েন উপস্থিত এক পুলিসকর্মী। তাঁর সঙ্গে একজন সার্জেন্টও ছিলেন। কে সেই পুলিস, জ্যাকেট পরা থাকায় দেখা যায়নি। এরপর অপরিচিত একজন আমাদের গাড়ি প্রগতি ময়দান থানায় নিয়ে আসেন। গাড়ির চাবি বাজেয়াপ্ত করে আমাদের চালককে লকআপে ঢুকিয়ে রাখা হয়। পাশাপাশি আমাদের ম্যানেজারকে হুমকি দেওয়া হয় আমাদের উপর কথা বললে তোমাকেও পুলিসে ধরিয়ে দেব।'

জয়িতা দেবী বলেন, 'আমাকে ম্যানেজার ফোন করলে ফোনে ডিউটি অফিসার অকথ্য ভাষায় আমাকে বলেন কিছু বলতে চাইলে থানায় আসতেই হবে। অতএব আমি আর আমার ছোট মেয়ে ভোর ৪টে ১০ নাগাদ প্রগতি ময়দান থানায় যাই। থানায় গিয়ে পুলিসের মুখে যে ভাষা শুনি তা আমার ধারণা বাইরে। কলকাতা পুলিস এমন ভাষা বলবে, শুনে আমি অবাক হয়ে গিয়েছি। ওই থানার ছোট বাবুকে যখন জিজ্ঞাসা করি কোন আইনে গাড়ি বাজেয়াপ্ত? উনি খারাপ টোনে বলেন যা জানার কোর্টে গিয়ে জানবেন। কেউ মহিলাদের সঙ্গে এভাবে কথা বলতে পারে জানা ছিল না।'

রশিদ খানের পরিবারের আরও অভিযোগ, 'খান সাহেবের নাম শুনে থানার ছোট বাবু বলেন আপনার ড্রাইভার গাড়ি চালাবে না, অন্য কেউ গাড়িটা চালিয়ে নিয়ে যাবে। যখন বলা হয় আপনি তো এই কথাটা আগে বলেননি। তখন উনি আরও রেগে যান। থানা থেকে ডেকে পাঠানো হয় খান সাহেবকে। অত ভোরে ঠাণ্ডার মধ্যে খান সাহেব থানায় এলে তাঁকে কেউ বসার জন্যও বলেনি। এমনকি উনি নমস্কার করলে, কেউ প্রতি নমস্কার করে সৌজন্য দেখায়নি। এরপর পণ্ডিতজিকে গাড়ি নিয়ে যেতে বললে, উনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন এবং বলেন সকালে আইনজীবীর সঙ্গে এসে কথা বলবেন।'

রশিদ খানের স্ত্রীয়ের দাবি, 'এই ধরনের লোকের একটা শাস্তি হোক। এঁদের জন্য কলকাতা পুলিসের ভাবমূর্তি খারাপ হয়। দু'জনের বিরুদ্ধে আমি চাই কড়া প্রশাসনিক ব্যবস্থা হোক। যে পুলিস অফিসাররা সহযোগিতা কাকে বলে জানে না, এঁরাই কলকাতা পুলিসের নাম খারাপ করছে। এঁদের একটা শাস্তি হোক।' যদিও এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রগতি ময়দান থানার পুলিস কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।


Follow us on :