Share this link via
Or copy link
ফাঁকা অফিসে (Saltlake Office) শুধু রয়েছে আস্ত সার্ভার রুম (Server Room), তাও সক্রিয় অবস্থায়।! স্বয়ংক্রিয় ভাবে চলছে কম্প্যুটার এবং সার্ভার। অনলাইন গেমিং (Online Gaming)-কাণ্ডের তদন্তে নেমে রীতিমতো তাজ্জব কলকাতা পুলিস (kolkata Police)। এই প্রতারণা চক্রের মূল চক্রী আমির খান। গার্ডেনরিচে (Gardenreach) তাঁর বাড়ি থেকে সাড়ে ১৭ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি (ED)। যদিও সেই ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়ে থাকা আমির খানকে গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিস। তারপরে বেড়েছে এই প্রতারণা চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তের ঝাঁজ।
এই চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতদের মধ্যে এক মহিলাও রয়েছেন। রয়েছেন সল্টলেকের ওই ফাঁকা অফিসের ম্যানেজারও। তাঁর অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনটাই অনুমান পুলিসের। আমির-সহ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ধৃত ৬। কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দাদের দাবি, অনলাইন গেমিং প্রতারণা চক্রে অর্থ লেনদেনে যে অ্যাকাউন্টগুলো ব্যবহার হতো, সেগুলোর সূত্র ধরে এই গ্রেফতারি। টাকার বিনিময়ে নিজেদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার অনুমতি দিতেন অভিযুক্তরা।
পাশাপাশি এই প্রতারণা চক্রে দুবাই যোগের সূত্র পেয়েছে কলকাতা পুলিস। সল্টলেকের যে অফিসে শুধু সার্ভার রুমের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, সেটা দুবাই থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়। এমনটাই তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিস। এই প্রতারণা-কাণ্ডে পরিবহণ ব্যবসায়ী আমির খানের পাশাপাশি আরও এক ব্যক্তির নাম উঠেছে। তিনি দুবাইবাসী শুভজিৎ শ্রীমানি। সল্টলেকের অফিস সম্ভবত তাঁর। সেখান থেকে ১৯৫২টি সিম কার্ড, তিন হাজার এটিএম কার্ড এবং ৪৮৩টি ব্যাঙ্ক কিট উদ্ধার হয়েছে।
এদিকে, এই প্রতারণা চক্রের পৃথক তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। তারা বুধবার কলকাতার একাধিক জায়গায় অভিযান চালায়। উত্তর কলকাতার বিকে পাল অ্যাভিনিউ থেকে দক্ষিণ শহরতলির বেহালা-সহ পাঁচ জায়গায় অভিযান চালায় ইডি।