২৮ মার্চ, ২০২৪

Court: 'জানি না আমার জীবদ্দশায় সব দুর্নীতিবাজ ধরা পড়বে কিনা', নিয়োগ-কাণ্ডে হতাশ বিচারপতি
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-11-04 11:03:28   Share:   

আমি জানি না আমার জীবদ্দশায় এঁদের সকলকে ধরা হবে কিনা। প্রাথমিক নিয়োগ (Primary Board) দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Ganguly)। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, নাকতলার বাসিন্দা জনৈক এক ব্যক্তি শুনানিতে এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। তিনিই নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে আদালতে জানান, আমরা তো আগে থেকেই জানতাম এই দুর্নীতির (Corruption) কথা। আমরা সকলেই জানি প্রাথমিক দুর্নীতি তে মূল দোষী কে। তাহলে শুধুমাত্র এই কয়েকজনকে ধরে কী লাভ বাকিদের কেন ধরা হচ্ছে না?

এরপরেই খানিকটা হতাশার সুরে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই ব্যক্তি জানান, নাকতলার বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে এই দুর্নীতি সম্বন্ধে তিনি ওয়াকিবহাল। প্রকাশ্যেই এসব চলতো, কিন্তু কেউই মুখ খুলতেন না। কিন্তু আরও যারা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না?

২০১৭ সালের টেট  পরীক্ষার যারা ১৫০-এর মধ্যে ৮২ পেয়েছেন তাঁদেরকে পাশ করিয়ে নিয়োগে অংশগ্রহণ করতে পর্ষদকে বৃহস্পতিবার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল টেট পরীক্ষার ২০১৭-র ক্ষেত্রে ৮৩ পাস নম্বর। আদালতে হাজির হয়েছিল ১৬ জন পরীক্ষার্থী। তাঁদের আবেদন শুনে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ পাশ মার্কস হবে ৮২।

এই প্রসঙ্গে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, 'অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দেন কারণ ১৫০-এ ৮২ নম্বর মানে ৫৪.৬৬% মার্কস। যেটা রাউন্ড আপ করলে ৫৫%। আর সংরক্ষিত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৫৫% পাশ মার্কস, সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনেও সেটা স্বীকৃত। তাই যারা আবেদন করেছিলেন তাঁদের পক্ষেই রায় দিয়েছেন বিচারপতি। এখন দেখার প্রাথমিক বোর্ড কী অবস্থান নেয়।'


Follow us on :