Share this link via
Or copy link
সবাই সিবিআই তদন্ত চাইছে। সিবিআই কি প্রস্তুত? রামপুরহাট কাণ্ডে বুধবার চারটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই এই প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির। সিবিআই জানিয়ে দেয়, তারা প্রস্তুত। একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, প্রথম দিনে সিবিআই দিলে রাজ্যের আপত্তি আছে কি? থাকলেও কেন? রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, সিট প্রস্তুত হয়ছে তদন্তের জন্য। সিটকে সময় দেওয়া হোক।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, বাইরের কেউ গ্রামে ঢুকছে না। শুধু তদন্তকারী ও মিডিয়া ঢুকছে। ওখানে যে ধরনের তদন্ত হবে, তার জন্য যোগ্য ফরেনসিক টিম গেছে। তদন্তের প্রথম দিন। এখনই কী কী পেল, বলা যাবে না তদন্তের স্বার্থেই। সব প্রমাণ সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সিট-এর তদন্তে ভরসা রাখলে ফল মিলবে। কিন্তু তার নির্দিষ্ট সময় আছে। গ্রামবাসী ও সাক্ষীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এখনই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে আমি বলব যে যেমন খুশি বলছে। সবটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেন, জ্ঞানবন্ত সিং শুধু রিজওয়ানুর কাণ্ডে যুক্ত তাই নয়, তিনি আনিস খান মৃত্যুরও তদন্ত করছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও ফলাফল হয়নি। আবার একটা গুরুত্বপূর্ণ তদন্তের ভার তাঁর দায়িত্বে দিলে শেষ পর্যন্ত কিছুই হবে না। কেন্দ্রীয় তদন্ত চাই। কারণ, গ্রাম ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। তারা ভয় পাচ্ছে। নিরাপত্তা দিক পুলিশ।
জ্ঞানবন্ত সিং আট বছর পর সামনে এসেছেন। তিনি একজন আত্মবিশ্বাসী অফিসার। তাঁকে নিয়ে তদন্ত করলে অসুবিধা কোথায়, আদালতকে পাল্টা প্রশ্ন এজির।
এদিন অবশ্য সিবিআই নিয়ে কোনও নির্দেশ প্রধান বিচারপতি দেননি। তবে অন্য কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছেন। যেমন এলাকায় সিসিটিভি লাগাতে হবে। পূর্ব বর্ধমান এর জেলা জজ এর তত্ত্বাবধানে সিসিটিভি বসানো হবে। কেন্দ্রীয় ফরেনসিকের প্রতিনিধিরাও ঘটনাস্থলে এসে নমুনা সংগ্রহ করবেন। ডিজি ও পূর্ব বর্ধমানের জেলা জজের তত্ত্বাবধানে সাক্ষী ও গ্রামবাসীদের নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করবে রাজ্য পুলিস। কোনও ময়নাতদন্ত বাকি থাকলে সেই পোস্টমর্টেম-এর ভিডিও হবে। কাল মামলার পরবর্তী তারিখ।