মাধ্যমিকের (Secondary Examination) জন্য কয়েকটি জেলার নির্দিষ্ট কিছু ব্লকে সীমিত সময়ের জন্য ইন্টারনেট (Internet) ও ব্রডব্যান্ড (Broadband) পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার এ নিয়ে মামলা দায়ের হল হাইকোর্টে (High Court)। মামলার শুনানি শেষে রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব করেছে হাইকোর্ট। হলফনামায় জানাতে হবে রিভিউ কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি সাধারণ জনজীবন কতটা ব্যাহত হচ্ছে, সেটাও জানাতে হবে হলফনামার মাধ্যমে। আগামীকাল দুপুর দুটোয় মামলার পরবর্তী শুনানি।
মামলাকারীর আইনজীবী বুধবার আদালতে বলেন, মাধ্যমিকের জন্য ৭ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যের ৮টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টে ১৫ মিনিট পর্যন্ত ইন্টারনেট বন্ধ থাকলে অনেক জরুরি পরিষেবা (Emergency Service) ব্যাহত হবে। অথচ এই সিদ্ধান্তের জন্য রাজ্য কোনও বিজ্ঞপ্তি (Notification)) জারি করেনি। ভয়েস কল (Voice Call) এবং মেসেজের (Message) ক্ষেত্রে এমন কোনও বিধিনিষেধ করা হয়নি। তাঁর প্রশ্ন, শুধু মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, বীরভূম এবং দার্জিলিং জেলায় এই নিয়ম কেন? বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ইন্টারনেট বন্ধ করা মানে মানুষের বাক স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করা।
আইনজীবী বলেন, এখন সব কিছুতেই ইন্টারনেট লাগে। একটা ট্যাক্সি বুক করতে গেলেও ইন্টারনেট লাগে। কেউ অস্বীকার করতে পারবে না, এটা এখন জরুরি বস্তু। ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য তিনি কোর্টের কাছে আবেদন জানান। তাঁর বক্তব্য, পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস (Question Leak) হওয়া আটকাতে না পারলে সরকার অন্য পন্থা ভাবুক। ইন্টারনেটের মাধ্যমেই এখন জগৎ চলে। ৪-৫ ঘণ্টা বন্ধ রাখলে যে কোনও ইমার্জেন্সি ঘটনা সামলানো সম্ভব হবে না।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে মাধ্যমিক স্কুলগুলির এলাকায়। সেই কারণেই পরিষেবা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। কাল রিভিউ কমিটির বৈঠক (Review Meeting) আছে সকাল ১১টায়। ইন্টারনেট বন্ধ রেখে প্রশ্নপত্র ফাঁস আটকানো যাচ্ছে কি না, তা নিয়ে আলোচনা হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা আছে, ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট বলছে, কিছু বেআইনি কাজ হতে পারে। এটা বোর্ড পরীক্ষা। তাই কড়াকড়িটা করতে হয়ছে। বোর্ড চাইলে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বিস্তৃত এলাক নয়, খুব স্বল্প এলাকায় নেট বন্ধ রাখা হয়েছে। এটা পুরো জেলা জুড়েও নয়। দার্জিলিঙের বাগডোগরা, বীরভূমের পাঁচটি ব্লক, জলপাইগুড়ির তিনটি ব্লক, কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ, শীতলকুচি সহ কিছু এলাকা, মালদহের গাজল সহ কিছু এলাকা। তাছাড়া এসএমএস তো খোলাই রয়েছে।