Share this link via
Or copy link
অয়ন হত্যাকাণ্ডে (Ayan Mondal Murder Case) উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, দশমীর দিন রাতে প্রীতি অন্য বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে যায়। রাত সাড়ে দশটায় অয়নকে ফোন করে প্রীতি। বাড়িতে রাত ১১ টা নাগাদ অয়নকে আসতে বলা হয়, দাবি প্রীতির।
পুলিসি জেরায় প্রীতি আরও জানিয়েছে, অয়ন মদ্যপ অবস্থায় রাত ১১ টায় তাদের বাড়িতে আসে। অয়ন বাড়ি এসে দেখতে পায় প্রীতি বাড়িতে নেই। এরপর অয়নের সঙ্গে প্রীতির মায়ের বচসা শুরু হয়। ঠিক সেই সময়ই বাড়িতে আসে প্রীতি। প্রীতি বাড়ি ফিরলে অয়নের সঙ্গে তারও বচসা শুরু হয়। সেই সময় বাড়িতে আসে প্রীতির ভাই। এসে দেখতে পায় প্রীতিকে মারধর করছে অয়ন। ইঁট, বাঁশ ও রড দিয়ে মারা হয়। এরপর তাঁর ভাই ও বাবা চড়াও হয় অয়নের উপর।
তবে পুলিসের (police) প্রাথমিক অনুমান, প্রীতির মায়ের প্ররোচনায় খুনের (murder) ঘটনা। প্রীতির মা মূলত ছক কষে ছিল এই খুনের এবং বাবা দেহ (body) লোপাটের চেষ্টা করে। আর এই কাজে ব্যবহার করা হয় প্রীতির ভাই ও তার দুই বন্ধুকে। সেদিন ম্যাটাডোর এলে কুঁদঘাট থেকে নেপালগঞ্জ হয়ে মগরাহাটের মগরাহাটে পুকুরে দেহ নিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। তবে ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের হরিদেবপুর থানা থেকে বের করে আলিপুর কোর্টের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয় শনিবার।
পুলিস সূত্রে খবর, শনিবার ভোর বেলায় হরিদেবপুর থানার পুলিস অভিযুক্ত প্রীতি জানার ভাইকে নিয়ে বাড়িতে যায়। পুনঃনির্মাণ করা হয় সেদিনের ঘটনা। তারপরে হরিদেবপুর থানার পুলিস তার ভাইকে নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের যায়, যেখানে দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেখানে গিয়েও তদন্ত করা হয়।