২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

Abhishek: 'দিল্লির পোষা কুকুর হবো না, বাংলার রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার হয়ে থাকব।' গর্জন অভিষেকের
CN Webdesk      শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩   Share:   

সকাল থেকেই কিন্তু অভিষেককে (Abhishek Banerjee) চাঙ্গাই লেগেছে। যদিও বেশি চাঙ্গা লাগলো সিবিআই (CBI) জেরা সেরে বেরিয়ে যখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন। দীর্ঘ সাড়ে ৯ ঘন্টার সিবিআই জেরা সেরে বেরিয়ে তুলোধনা করলেন বিজেপিকে (BJP)। নিশানায় থাকলেন বাম-কংগ্রেস ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারাও। শুক্রবার কুন্তল ঘোষের চিঠির প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার বেলা ১১ টায় সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। রাত ৮ টা ৪০ মিনিটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'আমি দিল্লির কাছে হার মানিনি তাই আমার বিরুদ্ধে এজেন্সি লাগানো হয়েছে। দিল্লির পোষা কুকুর হবো না, বাংলার রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার হয়ে থাকব।'

নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে এসে অভিষেক বিজেপিকে তীরে বিঁধলেন ও হাঁটলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়য়ের পথে, বললেন, 'বিজেপি নবজোয়ার যাত্রায় লোকের উন্মাদনা সহ্য করতে পারছে না, তাই এই নবজোয়ার যাত্রা বানচাল করার জন্য এত কিছু।' যেমনটা শুক্রবার মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছিলেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেরার শেষে বেরিয়ে এসে প্রথমেই বললেন, 'যারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তাদের সময় নষ্ট। আর আমারও সময় নষ্ট।' একার্থে তিনি বুঝিয়ে দিলেন এই জিজ্ঞসাবাদের ফলাফল শূন্য। এমনকি মুখেও তিনি বললেন এই ফলাফলের কথা। বললেন, 'এই জেরার নির্যাস শুন্য। একটি অস্টডিম্ব বেরিয়েছে।'

মোটের উপর সিবিআইয়ের এই হাজিরার পর যে অভিষেকের নবজোয়ারে নতুন পাল এলো সেটা কিন্তু তিনি বুঝিয়েই দিলেন। শনিবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদেরও তুলোধনা করতে ছাড়েন নি অভিষেক। অভিষেক সিবিআইকে টার্গেট করে বলেন, '৩ বছর আগে আমাকে ডেকেছিল, আমি আগে যা বলেছি তিন চার বছর পরে  তাই-ই বলব। সিবিআই তো গরু পাচার, কয়লা পাচার, শিক্ষায় দুর্নীতির তদন্ত করছে ফলাফল কি?' তিনি আরও বলেন, 'সিবিআই তো জ্ঞানেশ্বরীর তদন্ত করছে, ১৫ বছর ধরে নোবেল চুরির তদন্ত করছে ফলাফল কি?' সব শেষে হুঙ্কারের সুরেই বললেন, 'ইডি-সিবিআই লাগবে না, অভিযোগ থাকলে তথ্য প্রমান আনুন অন্যদিকে ফাঁসির মঞ্চ তৈরী করুন।'

শনিবার অভিষেক মোদী ও অমিত শাহকেও ছাড়েন নি। নিজের দলের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, 'তৃণমূল একমাত্র দল যে দলের মন্ত্রী থাকা কালীন গ্রেফতার হওয়ার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বহিস্কার করেছে,আর চোর ও দুষ্কৃতীরা বিজেপির সম্পদ।' মোটের উপর গোটা ঘটনায় বাড়তি অক্সিজেন পাচ্ছে তৃণমূল সেটা কিছুটা স্পষ্ট শনির সন্ধ্যার পর। '


Follow us on :