মঙ্গলবার রাতে বাঁশদ্রোণী থানা এলাকার সি ১১৪/১ ব্রহ্মপুর রোডের একটি আবাসনে উদ্ধার জোড়া দেহ। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী ঋষিকেশ পাল এবং স্ত্রী রিয়া সরকার পালের দেহ উদ্ধার হয়। দুজনকে উদ্ধার করে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সূত্রের খবর, ওই দম্পতি আত্মহত্যা করেছেন। হোয়াটসঅ্যাপ থেকেই জানা যায়, ঋষিকেশ পাল এবং তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করছেন। লোনের চাপের কারণেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়েছে তাঁদের। লকডাউনের সময় থেকে তাঁর চাকরি নেই। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, মানুষ হিসেবে খুব ভালো ছিলেন স্বামী-স্ত্রী দুজনেই, বাড়িতেই থাকতেন। কারও সাথে কোনও ঝামেলা বা অশান্তি ছিল না। পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ খবর পেয়ে ওই বাড়িতে পৌঁছন পুলিশ আধিকারিকরা। যদিওবা ভিতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। এরপর দরজা ভেঙে তাদের দুজনকে উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে রিয়াকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া যায়। এদের দুজনকেই হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
হোয়াটস অ্যাপ মেসেজে পরিষ্কার, বিরাট অঙ্কের ঋণের বোঝা সামলাতে না পেরেই তাঁরা এই পথ বেছে নিয়েছেন। এই মৃত্যুর জন্য তাঁরা কাউকে দায়ী করেও যাননি। লিখেছেন, তোমরা যারা আমাদের ভালো চাও, পারলে এসো মাটি দিতে, খুশি হবো।