বাড়িতে ফাটলের জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বউবাজার (bowbazar) চত্বরে। গতকালই বাড়ি ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। আজ ১৬/১ দুর্গাপিতুরি লেনের বাড়িটি আংশিক ভাঙার কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা। কাজ করছেন পুরকর্মী এবং সুরক্ষা দফতরের নিরাপত্তাকর্মীরা। উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় রাতের ঘুম উড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। ইতিমধ্যেই বাড়ি ছেড়েছেন অনেকে। প্রায় ১৮ টি পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ ফের বাকি বাড়িগুলি ভাঙার কাজ শুরু হয়। তবে এর ঠিক পাশের বাড়িটিও আজ ভাঙা হতে পারে। কিন্তু এবিষয়ে অনুমতি দেননি বাড়ির মালিক। ফলে এই কাজে কিছুটা হলেও জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয়রা জানান, আগেও অনেকবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল কেএমআরসিএল (KMRCL)-এর পক্ষ থেকে। কিন্তু তা এখনও পূরণ করা হয়নি। এইবারের প্রতিশ্রুতিও কতটা কার্যকর হবে, সেই চিন্তায় এখন তাঁরা।
অন্যদিকে স্থানীয়দের কথা মাথায় রেখে, এলাকায় একটি অস্থায়ী ক্যাম্প বানিয়েছেন কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। লাগানো হয়েছে একটি পোস্টার। তাতে লেখা কোনও অসুবিধায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন স্থানীয়রা।
প্রসঙ্গত, গতকাল থেকে ওই এলাকার দুটি বাড়ি ভাঙার কাজ চালাচ্ছে কেএমআরসিএল। একটি ১৬ এবং অন্যটি ১৬/১। এই দুটি বাড়ি যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে, তাই সেগুলি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয় কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও ওই এলাকার অন্যান্য বাড়িগুলিরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।
গতকালই এই এলাকায় পরিদর্শনে আসে কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ যাদবপুরের (jadavpur) একটি ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থাকে নিয়ে। এলাকায় একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে, ফলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা অত্যন্তই জরুরি মনে করছেন কেএমআরসিএল আধিকারিকরা। পাশাপাশি গতকালই উপস্থিত হন কেএমআরসিএলের বিশেষ প্রতিনিধিদল। তাঁরা এলাকা পরিদর্শন করে রিপোর্ট জমা দেন কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষকে। আর এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কোন কোন বাড়ি একেবারে ভেঙে দেওয়া হবে।