মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন ইন্টারনেট বন্ধ সংক্রান্ত মামলায় সরকারি বিজ্ঞপ্তির ওপর স্থগিতাদেশ জারি করল হাইকোর্ট। বুধবার মামলাটি হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উঠলে রাজ্য়ের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানিয়েছিলেন, রিভিউ বৈঠকের পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবেন। সেইমতো বৃহস্পতিবার ফের মামলাটির শুনানি হয়। সেখানে রিভিউ কমিটির বৈঠকের রিপোর্ট জমা দেয় সরকারপক্ষ।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, গতবারের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিভিন্ন জায়গায় হোয়াটসঅ্য়াপের মাধ্যমে প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়েছিল। এবার যে যে জায়গায় নেট বন্ধ হয়েছে, সেই জায়গায় প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়ার হার অনেক বেশি ছিল। তাই কিছু কিছু জায়গায় পরীক্ষার সময়টুকু নেট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ছাত্রদের কথা মাথায় রেখে ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শিক্ষাব্যবস্থাকে ধরে রাখতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বিকল্প কোনও পথ নেই। প্রশ্ন ফাঁসের জন্য পরীক্ষা বন্ধ হয়ে অন্য যারা এর সাথে যুক্ত নয়, তাদের জীবন শেষ। তাছাড়া ভয়েস কল ও মেসেজ ব্যবস্থা চালু রাখা হয়েছে ওই সময়ে।
বিচারপতি বলেন, পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে যাওয়া মানা। তবে তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করবে কী করে? যদি প্রশ্ন তৈরি করে রাজ্য, তবে তার নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্বও রাজ্যের।
রাজ্য জানায়, অবশ্যই এবং সেই কারণেই ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন, এর আগে কোনওদিন নেট বন্ধের প্রয়োজন হল না, এখন হল?
সবপক্ষের শুনানি শেষে বিচারপতি নেট বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্তের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেন। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ হল, প্রশ্ন ফাঁস রুখতে কী করণীয়, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা দফতর বা প্রশাসন। তার জন্য উন্টারনেট বন্ধ করে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলা যায় না।