রাজ্যের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Makaut) উপাচার্যকে (VC) রাতারাতি অপসারণের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য সরকার। তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন উপাচার্য সৈকত মৈত্র। বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টে (High Court)। খারিজ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সৈকত মৈত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে নিজের কাজে ফিরে যাবেন, নির্দেশ বিচারপতির।
এই রায়ের ফলে রাজ্য সরকার বড়সড় ধাক্কা খেল বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, উপাচার্যের মেয়াদ এখনও শেষ হয়নি। তার আগেই তাঁকে অপসারণের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল কোনওরকম কারণ ছাড়াই, এমনটাই অভিযোগ ছিল সৈকতবাবুর। বিশ্বস্ব সূত্রের খবর, সৈকতবাবুর জায়গায় রাজ্য সরকার নতুন উপাচার্যের নামও ঠিক হয়ে গিয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশের ফলে সেটাও এই মুহূর্তে করা সম্ভব হবে না। উপাচার্য পদে থেকে গেলেন সৈকতবাবুই।
উল্লেখ্য, রাতারাতি সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির (ম্যাকাউট) উপাচার্য সৈকত মৈত্রকে। কিন্তু রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সেখানে সাতদিনের জন্য স্থগিতাদেশ (Stay Order) দেওয়া হয়।
গত ২৯ শে জুলাই অপসারণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কেন অপসারণ? প্রশ্ন উপাচার্যের। মাকাউট-এর উপাচার্যকে ২৯ জুলাই ই মেইল করে সরিয়ে দেওয়া হয়। অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ওই নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁকে আগে ইস্তফা দিতে বলা হয়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে ভিসি হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল।
দেখুন, গোটা মামলাটির বিষয়ে আইনজীবী কী বলছেন?