Share this link via
Or copy link
২০১৪-র টেটের উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট (TET OMR Sheet) নষ্টের মামলায় সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। এই তদন্তে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৮টার মধ্যে তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ। প্রয়োজনে তাঁকে গ্রেফতার করে জেরা করতে পারবে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এদিন স্পষ্ট করে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এমনকি, যে এজেন্সির হাত ধরে ওএমআর শিট তৈরি, সেই এজেন্সি নির্বাচন কীভাবে হচ্ছে? খতিয়ে দেখবে সিবিআই। কার নির্দেশে ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে? নিয়ম মেনে নষ্ট হয়েছে কিনা? এসব খতিয়ে দেখে আগামি একমাসের মধ্যে আদালতকে রিপোর্ট দেবে সিবিআই। পয়লা নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
২০১৪-র টেট পরীক্ষার পর লক্ষাধিক ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে। এই সংক্রান্ত এক অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। সেই অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ। এই ঘটনার সময় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। তাই তাঁকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৮টার মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিকে, প্রাথমিকে ২০২০ সালের নিয়োগের পর এখনও ৩৯২৯টি শূন্যপদ রয়েছে। সেই পদে অবিলম্বে নিয়োগ করতে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। প্রাথমিক ধাপে ২৫২ জনকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই আড়াইশো জন সেই শূন্যপদে নিয়োগ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যোগ্য প্রার্থীদের সব নথি খতিয়ে দেখে নিয়োগের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামি নভেম্বরে। সেদিন কোর্টকে জানাতে হবে আদালতের এই নির্দেশের পর কতজন চাকরি পেলেন।
এদিকে, অন্য একটি মামলায় ৬৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ছয়টি প্রশ্ন ভুল মামলায় এই ৬৫ জনকে চাকরির নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২৩ সেপ্টেম্বর এই মর্মেই বেশ কয়েকজনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। এবার ওই মর্মে আরো ৬৫ জনকে চাকরি দিতে নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আদালতকে জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ১৮৫ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে।