Share this link via
Or copy link
নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) মতো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি বাতিল সংক্রান্ত জনস্বার্থ (PIL) মামলা খারিজ কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court। শুক্রবার এই মামলা খারিজ করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)। নবান্ন অভিযানের দিন হয়রানির শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ। নষ্ট হয়েছে সরকারি সম্পত্তি। স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়েছে। বন্ধ করা হোক এমন অভিযান। এই দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বিচারপতি রমাপ্রসাদ সরকার। সেই আবেদনই খারিজ করেছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ।
তাঁর আবেদন ছিল, অভিযান ঘিরে যে ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ দিক সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল। এদিকে বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছিল। পূর্ব মেদিনীপুরে প্রশাসনিক সভায় বিজেপিকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি নবান্ন অভিযানের নামে মানুষকে হেনস্থা করেছে। আমাদের একাধিক পুলিসকর্মী আহত। বিঘ্নিত হাটের ব্যবসা। এই অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'পুলিস চাইলে গুলি চালাতে পারত। কিন্তু সেটা কাম্য নয়। পুলিস যথেষ্ট নিয়ন্ত্রিত ভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু বাইরে থেকে লোক এনে গুণ্ডামি ঠিক নয়। রেলের জায়গা থেকে ইট ছুড়েছে, বোমা ছুড়েছে। লোক নেই বলে গুণ্ডামি করছে, আন্দোলনের নামে ব্যাগে বোমা-বন্দুক আনা যায় না। মাথা ফাটিয়ে দেব, এসব ঠিক নয়।'
পাল্টা সুর চড়িয়েছিল বিজেপি মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গে পুলিসের প্রশংসায় মুখর মুখ্যমন্ত্রী। পুলিস সংযম দেখিয়েছে একইভাবে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি, আন্দোলনের নামে গুণ্ডামি করেছে বিজেপি। এই অভিযোগ করেন মমতা-অভিষেক। বুধবার সেই অভিযোগের পাল্টা দিয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের খোঁচা, 'পুলিস নাকি শান্ত ছিল এমন দাবি করেছে বাংলায় চর্চিত যুবরাজ। উনি এক লাখ টাকা দিয়ে পুলিসের ঢিল তুলে ছোড়ার ছবি দেখতে পাবেন কিনা জানি না। নিরস্ত্র বিজেপি সমর্থকদের মারতে পুলিস ঢিল তুলে ছুড়েছে। ১২ তারিখ এসব চলছে। রেলের জায়গায় ঢুকে মহিলা সমর্থকদের হেনস্থা করেছে পুলিস।'