বিদেশের সংস্থায় চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার ফাঁদ। বড়সড় প্রতারণা চক্রের মূল পাণ্ডাকে গ্রেফতার করলো বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস। নয়ডা থেকে ওই অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, রাজস্থানের বাসিন্দা পুর্ণাংশু বোস বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেন, তিনি চাকরির জন্য একটি অনলাইন পোর্টালে তাঁর সিভি আপলোড করেন। সেখান থেকে তাঁর কাছে একটি মেইল আসে এবং মিস পায়েলের সঙ্গে চাকরির জন্য যোগাযোগ করতে বলা হয়। সেই অনুযায়ী পায়েলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন অভিযোগকারী। পায়েল তাঁকে সিঙ্গাপুরের একটি সংস্থায় মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টে কাজের প্রতিশ্রুতি দেয়।
তার পরদিন অভিযোগকারীর কাছে ওই সংস্থার টেকনিকাল হেড পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি ফোন করে এবং পূর্বের কাজের তথ্য জমা করতে বলে। পরবর্তীতে অভিযুক্ত পায়েল তাঁকে ফোন করে জানায়, মেডিক্যাল রিপোর্ট তৈরি করার জন্যে ১৪ হাজার ৭৫০ টাকা জমা করতে। যেটি পরে চাকরি না পেলে ফেরত যোগ্য। সেই অনুযায়ী তিনি সেই টাকা জমা করেন। তার কিছুদিন পর আবারও তাঁকে ডিজিট্যাল সিভি তৈরির জন্যে টাকা জমা করতে বলে পায়েল। প্রতারিত হচ্ছেন বুঝতে পেরে সাইবার ক্রাইম থানার দারস্থ হন তিনি।
ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিস জানতে পারে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে একটি সংস্থা খুলে এই প্রতারণা চক্র চালাচ্ছে। এই ঘটনায় আগে ৩জনকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল এই প্রতারণা চক্রের মূল পাণ্ডা সৌমী ঘোষ।
অবশেষে সূত্রে মারফত খবর পেয়ে নয়ডাতে হানা দেয় বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিসের একটি দল। সেখান থেকে মূল অভিযুক্ত সৌমী ঘোষকে গ্রেফতার করে। তাকে তিন দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতা নিয়ে আসা হয়েছে। শুক্রবার তাকে বিধাননগর আদালতে তোলা হয়। তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিস সূত্রে খবর। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কারা জড়িত রয়েছে তা তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস।