২৯ মার্চ, ২০২৪

Partha: 'নিয়োগ দুর্নীতির কিংপিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়', হেফাজতে নিতে কোর্টে দাবি সিবিআইয়ের
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-09-16 14:14:00   Share:   

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (Recruitment Scam) পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে পেতে আলিপুর আদালতে সওয়াল সিবিআইয়ের (CBI)। ইডির হাতে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজত হয়েছে। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে মূল অভিযুক্ত (Partha Chatterjee) হিসেবে পার্থর হেফাজত চায় সিবিআই। সেই মর্মেই এদিন আদালতে সওয়াল করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী। যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীর সওয়াল, তাঁর মক্কেলকে কেন আদলতে আনা হলো জানি না। কী জন্য ডাকা হল, না জানলে সওয়াল করব কী করে? পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে  গ্রেফতার করেছে ইডি (ED)। এখন সিবিআই তাঁকে হেফাজতে চাইছে। ওদের নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব। এতে আমার মক্কেলকে হেনস্থা করা হচ্ছে।

এই সওয়ালের পরই সিবিআই আইনজীবীকে বিচারকের প্রশ্ন, আপনাদের কপি অপরপক্ষের কাছে পৌঁছয়নি? আপনার কাছে অন্য কোনও কপি আছে? সিবিআইয়ের জবাব আমরা জানিয়েছি। পাল্টা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী জানান, আমাদের কাছে কিছু আসেনি। সিবিআই আমার মক্কেলকে গ্রেফতার করেনি। গ্রেফতার না করে কীভাবে হেফাজতে চাইতে পারে? ওরা জেলে গিয়েও এই মামলায় আমার মক্কেলকে জেরা করতে পারে। এদিকে, পাল্টা সিবিআই আইনজীবী জানান, এসএসসি গ্রুপ সি নিয়োগের পরীক্ষা হয় স্কুল সার্ভিস কমিশনের হাত ধরে। সেখানে অশিক্ষককর্মী নেওয়া হয়। পরীক্ষার পর হয় কাউন্সেলিং। যারা চাকরি পায় তাদের রেকমেন্ডেশন লেটার দিয়ে নিয়োগ হয়। তদন্তে এই প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি হয়েছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। ৪০০-র বেশি মানুষ ভুয়ো নিয়োগপত্র পেয়েছে। যারা অনেকেই পাশ করেনি বা পরীক্ষা দেয়নি। বেশিরভাগ রেকমেন্ডেশন লেটার ভুয়ো। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন এই ভুয়ো নিয়োগ ষড়যন্ত্রের মূল চক্রী।

পাশাপাশি তাঁদের সওয়াল, 'এই দুর্নীতি হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তে। অন্য অভিযুক্ত শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক কুমার সাহা তাঁদের আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হয়ছে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। তাই প্রধান অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। অন্য ধৃতদের সামনাসামনি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। এতদিন তিনি ইডি হেফাজতে ছিলেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআইয়ের এর প্রয়োজন। তাই পুলিস কাস্টডি চাইছি।'

পার্থর আইনজীবীর পাল্টা, 'অভিযুক্ত একজন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব। তাঁর বিরুদ্ধে করা এফআইআর-এ আইপিসির ৪২০ এবং ১২০-বি ধারার উল্লেখ রয়েছে। এই ধরনের এফআইআর একজন জনপ্রতিনিধির নামে হয়েই থাকে। কিন্তু এখানে তদন্তকারী সংস্থা অনেক কিছু লুকনোর চেষ্টা করছে, অপরপক্ষকে ধোঁয়াশাতে রাখছে। আমরা ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি। গ্রেফতারির আগেও তাঁকে ডাকা হয়েছে, প্রতিবা তিনি গিয়েছেন। মোট তিন বার ডাকা হয়েছিল, তিনবারই গিয়েছেন। অর্থাৎ অভিযুক্ত প্রত্যেকবার সিবিআইকে সাহায্য করছে।

এই সওয়াল জবাবের পর বিচারকের মন্তব্য, 'তদন্তকারী দল ভিন্ন তাই তাদের প্রয়োজন ভিন্ন।' অপরদিকে, শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে সদ্য ধৃত কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে দেখা হয়ে যায় পার্থবাবুর। দু'জনকে এজলাসে নিচুস্বরে কথা বলতেও দেখা গিয়েছে।


Follow us on :