বাগুইআটির রঘুনাথপুরে বিয়েবাড়িতে ফায়ার রিজার্ভার বক্স ভেঙে পড়ার ঘটনায় মঙ্গলবারই ফরেনসিক দলের আসার সম্ভাবনা। বিয়েবাড়ির গেটে উপস্থিত বাগুইআটি থানার বিশাল পুলিসবাহিনী। তবে তার আগেই প্রশ্নের মুখে কর্তব্যরত পুলিসকর্মীদের ভূমিকা। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিয়েবাড়ি থেকে ব্যাগে করে বিভিন্ন জিনিস নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে একের পর এক ব্যক্তি। এমনকি হোটেলের স্টাফেরাও ব্যাগে করে জিনিস নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। এতে প্রমাণ নষ্টের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। তদন্তে ঘাটতি থাকবে বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সোমবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ প্রচণ্ড জোরালো একটা আওয়াজ হয়। আশেপাশের বাড়িঘর রীতিমতো কেঁপে ওঠে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, দিনের পর দিন ওই বিয়েবাড়ি কর্তৃপক্ষ পিছনে থাকা স্থানীয়দের জায়গায় নোংরা-আবর্জনা ফেলে আসছে। কাউকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তবে সোমবারের এই ঘটনার পর বিয়েবাড়ির তরফে গ্যাস সিলিন্ডার ছুঁড়ে ফেলা হয় স্থানীয়দের জায়গায়। তাঁদের বাগানে পড়ে একাধিক অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন এই অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডারগুলি মজুত করেছিল হোটেল কর্তৃপক্ষ। সেই সিলিন্ডারগুলিই তাঁদের জায়গায় ছুঁড়ে ফেলা হয়।
প্রসঙ্গত, বিয়েবাড়িতেই সোমবার ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ফায়ার রিজার্ভার বক্স ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় একজনের। গুরুতর আরও আহত ৩ জন।
পুলিস সূত্রের খবর, একটি ব্যাঙ্কোয়েট হলে বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান চলছিল। সেই সময়ই হঠাৎ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে চারিদিক। ওই ব্যাঙ্কোয়েটের দ্বিতীয় তলে ঘটে এই দুর্ঘটনা। আচমকা ফায়ার রিজার্ভার বক্স ভেঙে পড়ে নীচে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজনের উপর। ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তির নাম শেখর বেড়া, বয়স ৩৮ বছর। মৃতের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরে। গুরুতর আহত অবস্থায় আরও তিনজনকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
এদিকে, বিয়েবাড়ি চলাকালীন এই দুর্ঘটনায় হুড়োহুড়ি পড়ে যায় বিয়েবাড়িতে। তাদের আপাতকালীন দরজা দিয়ে বাইরে বের করে আনা হয়। দুর্ঘটনাস্থলে বাগুইআটি থানার বিশাল পুলিসবাহিনী উপস্থিত হয়। দমকলের দুটি ইঞ্জিনও পৌঁছে যায় দুর্ঘটনাস্থলে। তবে কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।