পুরসভার নাকি আর্থিক সংকট চলছে। কিন্তু তার মধ্যেও একটি সিদ্ধান্তকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। চরম আর্থিক সংকটের মধ্যেই মেয়র পারিষদের ট্যাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। পেপারলেস কাজের জন্যই নাকি মেয়র পরিষদদের ট্যাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত। কিন্তু প্রত্যেককে ৪৯ হাজার টাকা দামের ট্যাব দেওয়া নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এ ব্যাপারে অবশ্য মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, যে ভুলটা জ্যোতিবাবু করেছেন, সেটা আমরা করতে পারি না। এককালীন খরচ করলে সেটা প্রকৃতপক্ষে সাশ্রয় হয়। কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব এগুলো আবশ্যক। গোটা প্রক্রিয়াটাই কলকাতা পুরসভায় আমরা পেপারলেস করতে চাই।
অন্যদিকে, বিরোধীদের অভিযোগ, এই মুহূর্তে পুরসভার অবসরপ্রাপ্তদের বকেয়া মেটানো হয়নি। গত সেপ্টেম্বর থেকে ৬৪০ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর পেনশনের ফাইল আটকে। অনেকেই ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেন না। এমনকি আটকে রয়েছে অনেক ক্যাজুয়াল কর্মীর মাইনে।
আর্থিক সংকটে জর্জরিত পুরসভায় ট্যাবের জন্য অর্থ অপচয় নিয়ে তাই স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন।
অথচ এসবেরই পাশাপাশি পুর সংস্থার কোষাগারের হাল ফেরাতে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংকট মেটাতে পুর আধিকারিকদের ফোনের বিলে পড়েছে কোপ। তা ৫০০-১২০০ টাকা থেকে কমিয়ে ২৫০ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাও চেকে নয়, ফোনের টাকা মিলবে বেতনের সাথে। সামনের মাস থেকে সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, এদিনই এক সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, পুরসভা এলাকায় যেখানে জলের অপচয় হবে, সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফেরুল ছোট করে দেওয়া হবে। ইন্সপেক্টররা এলাকায় ঘুরবেন, দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। জল দেওয়া আমাদের প্রাথমিক কাজ। তেমনি জল অপচয় রোধ করাও আমাদের অন্যতম কাজ।
মেয়র বলেন, বহুতলের ক্ষেত্রে কতটা জল লাগবে, তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। প্রয়োজনীয় ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলনের অনুমতি না থাকলে এবং আমাদের পানীয় জল পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা না থাকলে সেই বহুতলের বিল্ডিং প্ল্যান করা হবে না।