বাজার অগ্নিমূল্য। চড়চড়িয়ে বাড়ছে সব জিনিসের দাম। সম্প্রতি পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কিছু কমলেও, কমছে না দ্রব্যমূল্য। গ্রীষ্মকালীন সবজি থেকে শুরু করে মাছ (fish), মাংস (chicken) ও ভোজ্যতেলের দাম আকাশছোঁয়া। মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আলুর (potato) দাম। দাম বেড়েছে আলুরও। বাজারে ঢুকলেই আঁতকে উঠছেন সাধারণ মানুষ। এবার সেই পথেই ডালের দামও? কয়েকদিন ধরেই সাধারণ মানুষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল এই বিষয়ে। এরপর সূর্যমুখী তেলের দামও বেড়েছে। ভোজ্য তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে বলেই জানা যায়। স্বাভাবিকভাবেই ক্রেতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। কিন্তু সেই প্রশ্ন একেবারেই উড়িয়ে দিলেন গড়িয়াহাট বাজারের এক ডাল বিক্রেতা।
ডাল বিক্রেতা জানান, বর্তমানে ডালের দাম বৃদ্ধি হয়নি। যা হয়েছে দেড় মাস আগেই হয়েছে। তবে দেখা মিলছে না ক্রেতাদের। অন্যান্য সবজির দামে এখনও কোনও হেরফের নেই। ফলে সবজি নষ্ট হওয়ার একটা আশঙ্কাও দেখা যাচ্ছে। সমস্যায় ক্রেতা সহ বিক্রেতারা।
সোমবার গড়িয়াহাট বাজারে (Gariahat bazar) বাজারমূল্য- প্রতি কেজিতে মুগ ডাল ১২০ টাকা, মুসুর ডাল ১২০ টাকা, আরহার ডাল ১২০ টাকা, ছোলার ডাল ১০০ টাকা, বিউলি ১৩০ টাকা, তারকা ডাল ১২০ টাকা, ভোজ্য তেলের মধ্যে সরিষার তেল ১৯০-২১০ টাকা, সোয়া তেল ১৭৫-১৯০ টাকা, সূর্যমুখী তেল ২১০ টাকা, বাসমতি চাল ৮০ টাকা থেকে শুরু। বিক্রেতারা জানান, এক মাসের মধ্যে এই চালের দাম বেড়েছে ২০ টাকা কিলো প্রতি।
অন্যদিকে মুচিবাজারেও (Muchibazar) ছবিটা একই। প্রতি কেজিতে পিয়াজ ২০ টাকা, আদা ৮০ টাকা, রসুন ৮০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, আলু (জ্যোতি) ৩০ টাকা, আলু (চন্দ্রমুখী) ৪০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, ভেন্ডী ৩০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, কুমড়ো ২০ টাকা, লাউ ১৫-২০ টাকা পিস।