Share this link via
Or copy link
ববিতা সরকারের ছায়া প্রিয়াঙ্কা সাউ মামলায় (Priyanka Sau Case)। যোগ্য হয়েও বেআইনি নিয়োগের (Recruitment Scam) জেরে হাইস্কুলে ইংরেজি শিক্ষিকার চাকরি পাননি প্রিয়াঙ্কা সাউ। ২০১৬ সালে এসএলএসটি (SLST) দিয়েও ছয় বছর ধরে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী হিসেবে চলছিল তাঁর আইনি লড়াই। বৃহস্পতিবার সেই লড়াইকে স্বীকৃতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (High Court)। ২৮ অক্টোবরের বাড়ির কাছের স্কুলে প্রিয়াঙ্কা সাউকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের। কলকাতা জেলার মধ্যে তাঁর কাছে তিনটি স্কুলের বিকল্প রাখতে হবে। তার মধ্যে থেকে পছন্দসই একটি স্কুল বাছবেন প্রিয়াঙ্কা। ২১ অক্টোবরের মধ্যে কাউন্সেলিং করে ২৮ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট স্কুলে সুপারিশপত্র পাঠাতে হবে। যাতে পুজোর পর যোগদান করতে পারেন প্রিয়াঙ্কা। ঠিক এই নির্দেশ স্কুল সার্ভিস কমিশনকে এদিন দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিকে, এই মামলায় এসএসসি নিয়োগে লিঙ্গবৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। পুরুষ-মহিলা এবং শুধু মহিলা দুই প্যানেলেই নথিবদ্ধ ছিলেন প্রিয়াঙ্কা সাউ। কিন্তু পুরুষ-মহিলা মেধাতালিকায় যোগ্য প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম থাকলেও, তিনি কাউন্সেলিংয়ে ডাক পাননি। কারণ পুরুষ-মহিলা প্যানেল থেকে সরিয়ে শুধু মহিলা প্যানেলে রাখা হয় প্রিয়াঙ্কার নাম। ফলে তিনি ডাক না পাওয়ায় অন্য একজনের কাউন্সেলিংয়ে ডাক পড়ে। রীতিমতো এই অভিযোগে সরব হয়ে মামলা করেন প্রিয়াঙ্কা সাউ।
এই প্রসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা সাউ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, 'লড়াই করে যে সবশেষে সাফল্য আসে। আমার গল্পটা সেরকম। আমার লড়াই ব্যর্থ হয়নি, বরং ন্যায়ের জয় হয়েছে। এটাই আমার ভালো লাগছে।'