অবশেষে তিন হাসপাতাল ঘুরে হয়রানির পর শনিবার ভোরে শিশুটিকে ভর্তি নেওয়া হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। চিকিৎসা শুরু হয়েছে অসুস্থ শিশুর। প্রসঙ্গত,গুরুতর অসুস্থ শিশুকে নিয়ে তিনটি সরকারি হাসপাতাল ঘুরেও চিকিৎসা না মেলার অভিযোগ। অবশেষে চিকিৎসা পাওয়ার আশায় গভীর রাত পর্যন্ত এসএসকেএমে অপেক্ষা করেন উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থেকে আসা এক পরিবার। পরিবারের দাবি বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ সাড়ে তিন বছরের শিশুর মাথায় কুকুরে কামড়ায়। বাড়ির সামনে খেলা করছিল সে। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে টিকা দেওয়া হয় শিশুটিকে। এরপর সেখানকার চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে রেফার করে এসএসকেএমে।
কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, এসএসকেএমে বেড নেই বলে জানানো হয়। শিশুটিকে ভর্তি করাতে না পেরে এরপর আর জি করে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ সেখানে প্রথমে এই পরিষেবা নেই বলে জানানো হয়। দিশেহারা হয়ে সাড়ে তিন বছরের অসুস্থ শিশুকে নিয়ে তারা এরপর নীলরতন সরকার হাসপাতালে যান। সেখানেও একই ছবি। শিশুটিকে ভর্তি নেওয়া হয় না বলে অভিযোগ পরিবারের। ততক্ষণে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে বলে দাবি পরিবারের।
এই পরিস্থিতিতে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ারের সামনে শিশুটিকে নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করে তার পরিবার। অনেক আশা নিয়ে গ্রাম থেকে শহরে চিকিৎসার জন্য আসে সাধারণ মানুষ। কিন্তু ফের রেফার রোগের শিকার হতে হল একরত্তিকে। প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে।এক হাসপাতাল থেকে আর এক হাসপাতালে ঘুরে মরতে হয রোগী ও তার পরিবারকে। কিন্তু কেন? রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুষ্ঠ চিকিত্সার লক্ষ্যে তত্পর। তারপরেও দূর দূরান্ত থেকে চিকিত্সা করাতে মানুষরা ঘুরে মরেন হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে। বিস্তর অভিযোগও আসে প্রকাশ্যে। সময়ের মধ্যে চিকিত্সা না মিললে ভযঙ্কর পরিণতিও হতে পারে কোনও কোনও ক্ষেত্রে। তার দায় নেবে কে ? প্রশ্ন সাধারণের।