Share this link via
Or copy link
এবার কর্মশিক্ষা এবং শরীরশিক্ষা (Work Education) শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ। হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী (Calcutta High Court) নির্দেশে দু'দিনের জন্য স্থগিত কর্মশিক্ষা সুপার নিউমারিক (Super Numeric Post) ৭৫০ পদে নিয়োগ। আপাতত পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত নিয়োগ বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। কর্মশিক্ষায় জন্য যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁরা কেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে বিশেষ ক্যাটেগরি। বৃহস্পতিবার জানাতে হবে আদালতকে। যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের এই মামলায় যুক্ত হয়ে যাবতীয় তথ্য দিতে হবে।
এসএসসি এই মামলায় জানিয়েছে, মামলাকারী প্রার্থীর বিএড কোয়ালিফিকেশন প্রযোজ্য নয়। তাই ৫ নম্বর কেটে নেওয়া হয়েছে। ইন্টারভিউয়ের জন্য তিনি নির্বাচিত হননি।
সব ওয়েটিংলিস্ট প্রার্থীদের মধ্যে ইন সার্ভিস রয়েছেন। তাঁদের ক্যাটেগরি এক নয়, তাঁদের জন্য বিশেষ ছাড় রয়েছে। মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য জানান, সুপার নিউমারিক পোস্টে নিয়োগের সময় এসব কিছুই জানানো হয়নি। আমার মক্কেলের থেকে কম নম্বর পাওয়া ৬০ চাকরিপ্রার্থীর নাম তালিকায় রয়েছে। এই ৬০ জনকেই মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। পরে ২০১৭ সালের জুন মাসে শুধুমাত্র কর্মশিক্ষা বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২০১৮ সালের মার্চে ইন্টারভিউ (পার্সোনালিটি টেস্ট) হয়। চলতি বছর অক্টোবরে শারীরিক শিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা বিষয়ে অতিরিক্ত পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে এসএসসি। তারপরেই একটি মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে।
মামলাকারী তথা চাকরিপ্রার্থী সোমা রায়ের অভিযোগ, গত ৩ নভেম্বর কর্মশিক্ষা বিষয়ে যে ‘ওয়েটিং লিস্ট’ প্রকাশ করেছে এসএসসি, তাতে তাঁর নাম নেই। তিনি তফশিলি জাতিভুক্ত। লিখিত পরীক্ষা এবং পার্সোনালিটি টেস্ট মিলিয়ে ৭২ নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় ৫৪ পেলেও। ‘অ্যাকাডেমিক স্কোরে’ ২২-এর পরিবর্তে তাঁকে ১৮ নম্বর দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ সোমার। তাঁর মোট নম্বর হওয়ার কথা ৭৬।
পর্ষদের উদ্দেশে কোর্টের মন্তব্য, 'পাশ করেননি যারা তাঁদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করছেন। এতে পড়ুয়াদের হেনস্থা হতে হবে। কীভাবে মেধাতালিকা এবং ওয়েটিং লিস্ট তৈরি জানতে চায় আদালত। আগে পর্ষদ পরিষ্কার করুক, যারা নিয়োগ পেয়েছেন সঠিক পথে পেয়েছেন। তারপরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।'