১৯ এপ্রিল, ২০২৪

TET: ২০১২ এবং ২০১৪ চাকরিপ্রার্থীদের ৪০ দিন শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসার অনুমতি হাইকোর্টের
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-11-10 17:00:49   Share:   

২০১২ এবং ২০১৪ টেট (TET) চাকরিপ্রার্থীদের মামলায় হাইকোর্টে স্বস্তি চাকরিপ্রার্থীদের (Job Aspirants)। গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ৪০ দিন শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসার অনুমতি দিলেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। আদালতের নির্দেশ, 'মামলাকারীরা অর্ডার কপি নিয়ে যাবে লালবাজারে। সেখানে চাকরিপ্রার্থীরা উচ্চপদস্থ পুলিস কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে অবস্থানের দিনক্ষণ ঠিক করবে।' জানা গিয়েছে, ২০১২ ও ২০১৪-র টেটে পাশ করেও চাকরি না পাওয়া বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থানে বসার অনুমতি পায়নি পুলিসের থেকে। তাঁদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসার অনুমতি দিক আদালত। তাঁদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পূরণে এই আন্দোলনের ডাক। এই আবেদনেই এদিন চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষেই রায় দিয়েছে হাইকোর্ট।

এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ফের হুঁশিয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। সম্প্রতি ২০১৭ টেটের সংরক্ষিত বিভাগে পাশ মার্ক ৮২ করার নির্দেশে দিয়েছিল হাইকোর্ট।  ৭ ই নভেম্বর ২০১৭-র সংরক্ষিত বিভাগের ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ বলে ঘোষনা করা হলেও, ২০১৪ নিয়ে কোন বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি পর্ষদ। এই অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ ২০১৪ টেটের চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, সোমবার পর্যন্ত দেখা হবে। নির্দেশ কার্যকরী না হলে পরীক্ষা  বন্ধ করে দেব।

অপরদিকে, বাম আমল থেকে আটকে থাকা নিয়োগ প্রক্রিয়া অবিলম্বে চালু করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। এক্ষেত্রে অপ্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। এমনটাই জানিয়েছে হাইকোর্ট। ২০০৯ সালের শিক্ষক নিয়োগে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং মালদা এই তিন জেলায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে থমকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নিয়োগ প্রক্রিয়া। ২০১২ সালে প্যানেল বাতিল হওয়ার জন্য এই চার জেলার নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে যায়। পরে আবার ২০১৪ সালে পরীক্ষা হয়ে রেজাল্ট প্রকাশিত হয়।

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ২০০৯-এর প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে রায় আদালতের। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি কৃষ্ণা রাও-র ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের প্রাধান্য দেওয়া যাবে না। বাছাই পর্ব সম্পূর্ণ করে প্যানেল প্রকাশিত করতে হবে দু সপ্তাহের মধ্যে। এই প্যানেল প্রকাশের দু'সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ চূড়ান্ত করতে হবে।


Follow us on :