Share this link via
Or copy link
খড়গপুর IIT-র ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু (Student Death) মামলায় রাজ্যের জমা দেয়া রিপোর্টে উল্লেখ আত্মহত্যার প্রসঙ্গ। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) উদ্বিগ্ন IIT ক্যাম্পাসের র্যাগিং (Ragging) নিয়ে। এই বিষয়ে প্রথিতযশা এই কলেজকে সতর্ক হওয়ার বার্তা হাইকোর্টের। বৃহস্পতিবার আদালত জানতে চেয়েছে, আইআইটি খড়গপুর র্যাগিং প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে? সেই রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ। আগামী সোমবার দিতে হবে রিপোর্ট। পাশাপাশি পুলিসকেও দিতে হবে রিপোর্ট। ২২ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এসপি এবং ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডের তদন্তকারী অফিসারকে উপস্থিত থাকতে হবে আদালতে।
এদিন শুনানিতে মৃত ছাত্রের পরিবারের তরফে অভিযোগ, র্যাগিং করা হতো অসমের ওই পড়ুয়াকে। একাধিকবার শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার ওই পড়ুয়া। কলেজ কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে একাধিকবার অভিযোগ করা হয়েছিল বলে আদালতে দাবি করেছে মৃত ছাত্রের পরিবার। এমনকি, সেই দাবির প্রেক্ষিতে একটি অভিযোগ পত্র এদিন বিচারপতির কাছে জমা দেয় পরিবার। যদিও রাজ্যের তরফে এদিন পুলিস সুপারের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। এমনকি ভিসেরা রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিস। এই দাবিও আদালতে করেছে রাজ্য।
দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে বিচারপতির মন্তব্য, এসপি রিপোর্ট কাউকে দেখানো যাবে না। আবেদনকারীপক্ষকেও না। তিনি জানান, আমি বুঝতে পারছি না কলেজগুলো কেন কলেজ র্যাগিং নিয়ে ওয়াকিবহাল নয়। এটা এক্রা সামাজিক ব্যাধি। কলেজকেই র্যাগিং প্রতিরোধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিচারপতি বলেন, 'আমি রিপোর্ট দেখে বুঝলাম ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। তবে আমি চাই কলেজগুলো থেকে র্যাগিং একেবারে নির্মূল হোক।'