Share this link via
Or copy link
বঙ্গ রাজনীতিতে এখন চর্চায় শাসক দলের একাধিক নেতা। এর মধ্যে অন্যতম নাম বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। বুধবার ফের গরু পাচার মামলার তদন্তে বোলপুরে (Bolpur) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI) সঙ্গে স্ক্যানার ও ফরেনসিক কিট। এদিন সকালে বোলপুরের রতনকুঠিতে সিবিআইয়ের যে অস্থায়ী ক্যাম্প রয়েছে সেখানে এসে ডাকা হয় তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যকে।
২০২০ সালে অনুব্রতের স্ত্রী ছবি মণ্ডলের মৃত্যু হয়। তার আগে অনুব্রতের স্ত্রী কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে সিবিআই সূত্রে খবর, তিনি চিকিৎসাধীন থাকাকালীন মোট ৬০ লক্ষ টাকা ওই হাসপাতালকে দিয়েছিলেন রাজীব। সেই রসিদ হাতে পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর এরপরই সন্দেহ দানা বেঁধেছে। তা হলে কি অনুব্রতের স্ত্রীর হাসপাতালের বিল মিটিয়েছিলেন ব্যবসায়ী রাজীব? যদি তা না হয়, কেন এতগুলি টাকা দিল রাজীব? কী স্বার্থ রয়েছে? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা।
পাশাপাশি একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার এবং বোলপুর রেজিস্ট্রি অফিসের আধিকারিকদেরও ডেকে পাঠানো হয়। সিবিআই সূত্রের খবর, এদিন ডাকা প্রত্যেকের সঙ্গে অনুব্রতের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ও তথ্য নিতে পারেন তদন্তকারীরা।
জানা যায়, অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সুজিত দে, এবার তাঁকে সিবিআই নোটিশ দেয়। এর আগেও সুজিত দে-এর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছিল। বুধবার ফের তাঁকে নোটিশ দিয়ে গেলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সমস্ত তথ্য নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। ব্যাঙ্কের নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।