এসএসসি নিয়োগ (SSC Recruitment) দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার সক্রিয় ভূমিকায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED Raid)। এদিন সকাল থেকেই শহর এবং শহরতলি মিলিয়ে অর্পিতা (Arpita Mukherjee) সম্বন্ধীয় ৬টি জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। অর্পিতাকে জেরায় পাওয়া আরও একটি ফ্ল্যাট পণ্ডিতিয়া রোডের ফোর্ট ওয়েসিস আবাসনে হানা দেন ইডি কর্তারা। সেই আবাসনের ৬ নম্বর ব্লকের ৫০৩ নম্বর ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়েছে ইডি।
পাশাপাশি মাদুরদহের ওম ভিলা আবাসনেও তল্লাশি অভিযানে যান ইডি-র আধিকারিকরা। বরানগর, লেকভিউ রোড এবং পাটুলির নেইল আর্ট পার্লারেও চলেছে তল্লাশি। তালা খুলতে আনা হয়েছিল চাবিওয়ালা। জানা গিয়েছে, অর্পিতাকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই অভিযান ইডির। এদিকে, বরানগর টবিন রোডে অর্পিতার নেইল আর্ট পার্লারে ইডি প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েছে। এই অভিযানে সঙ্গে রাখা হয়েছিল পড়শি এক দোকানি এবং ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক পার্থ মজুমদারকে। দু'জনেই তল্লাশির সময় ভিতরে ছিলেন। এরপর ব্যবসায়ী সমিতির তরফে থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে তিনি দোকানের মেনটেন্যান্স বাবদ মাসে ১০০ টাকা পরিশোধ করেননি। অনেকবার তাঁকে এব্যাপারে জানানো হলেও তিনি কর্ণপাত করতেন না। অর্পিতা মাঝেমধ্যেই এই পার্লারে আসতেন। কিন্তু আশেপাশে কারও সাথে তেমন যোগাযোগ রাখতেন না।
অপরদিকে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। আরও টাকা ও সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। হিসেব মেলাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাইকে নোটিস পাঠাল ইডি। সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই অভিজিৎ ভট্টাচার্যের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। যেখান থেকে ইডি আধিকারিকরা মনে করছেন, তাঁর জামাইয়ের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা রয়েছে। তার হিসেব জানতে নোটিশ দিয়ে তলব করা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই অভিজিৎ ভট্টাচার্যকে। অভিজিৎ ভট্টাচার্য আমেরিকায় থাকেন।