Share this link via
Or copy link
স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষ। অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে দিল্লির (Delhi) উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন ইডি আধিকারিকরা (ED)। কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছতেই 'নাটক' শুরু অনুব্রতর বলে দাবি অনেকের। কারণ তিনি অসুস্থতা বোধ করছেন বলে আধিকারিকদের জানান। শ্বাস নিতে অসুবিধে হচ্ছে। অনুব্রতকে ইনহেলার নিতেও দেখা যায়। শ্বাসকষ্ট হওয়ায় নিকটবর্তী হাসপাতালে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত।
জানা গিয়েছে, রিহ্যাব লাউঞ্জে ছিলেন। ৬.৪৫ মিনিটের ফ্লাইটে দিল্লি যাওয়ার কথা অনুব্রতর। সেই মতো তিহারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এর আগে অনুব্রতর শ্বাসকষ্ট শরীর খারাপের 'নাটক' শুরু বলে কটাক্ষ করেন বিরোধীরা। যদিও সকাল ১১.০৮ মিনিটে কলকাতার জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন, তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া সম্ভবপর কিনা। সূত্রের খবর, রক্তের বিভিন্ন প্যারামিটার পরীক্ষা করা হয়। এক্স-রে এবং এসিজিও করানোর হয় অনুব্রতর। সব রিপোর্ট ঠিকঠাক আসে। এরপরই জেল কর্তৃপক্ষ ইডির হাতে তুলে দেন তাঁকে। পৌঁছতে রাত হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে। তাই আজ ইডির সদর দফতরেই রাতে থাকবেন। দিল্লি যাওয়ার পর আরেকবার তাঁর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হবে।
ইএসআই হাসপাতাল থেকে বার হওয়ার সময়ই বীরভূমের দাপুটে তৃণমূলকে লক্ষ্য করে উঠল 'গরু চোর' স্লোগান। হাসপাতালের সামনে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ জমায়েত করেছিলেন। তাঁরাই অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলে।
উল্লেখ্য, শক্তিগড়ে প্রাতঃরাশের সময় অনুব্রত মণ্ডলের টেবিলে ৩ জন অজ্ঞাতপরিচয়ের ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছিল। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তাও বলেন তৃণমূল নেতা। অবশেষে ওই ৩ জনের মধ্যে ২ জনের পরিচয় জানা গিয়েছে। একজন, কৃপাময় ঘোষ। যিনি খাবারের বিল মিটিয়েছিলেন। আরও জানা গিয়েছে, আরেকজন, অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের গাড়িচালক তুফান মির্ধা। তবে পুলিসি নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কী করে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক সারতে পারেন? কীভাবেই বা তাঁরা খবর পেল কোথায় গাড়ি থামানো হবে? উঠছে একাধিক প্রশ্ন।