১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Christmas: বাঙালির বড়দিন, আড্ডা, পরিবার এবং পার্কস্ট্রিট-বো ব্যারাকে ঢুঁ মারা
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-12-26 12:58:29   Share:   

প্রসূন গুপ্ত:  আমাদের বাঙালিদের কাছে বড়দিনটিও বন্ধু অথবা বান্ধবী কিংবা প্রেমিক প্রেমিকার বেরিয়ে হৈচৈ করার দিন। এটা বাস্তব যতই ১৪ ফেব্রুয়ারী সারা বিশ্ব প্রেমের দিন হিসাবে ধরুক না কেন, বাঙালির প্রেমের দিন সরস্বতী পুজো। অবশ্য প্রেমের প্রস্তাবনার দিনও বলা চলে। এই প্রেমটি জমে গেলে বেরিয়ে পড়া, কোথাও নিভৃতে থাকা অথবা অবশ্যই বড়দিনে পার্ক স্ট্রিট বা নিজ নিজ শহরের রেঁস্তোরায় রাতের ডিনার। এসব গল্পের শুরু ৭০ দশকে এবং আজও কিছু একটা করা।

ওয়ান ডে বা টি২০-র টিকিট পাওয়ার মতোই পাড়ায় বলার মতো বিষয় , আজ সন্ধ্যাটা কাটলো পার্ক স্ট্রিটে।|শুধু বন্ধুবান্ধব নয় পরিবার নিয়ে বড়দিনে বাইরে খাওয়ার রেওয়াজ চলছেই। দিল্লি মুম্বাই বা অন্য শহরে নির্দিষ্ট কোনও রাস্তায় যেতেই হবে এমন কোনও ব্যাপার নেই যা আছে কলকাতায়।

করোনা আবহে ২০২০-তে তো জমায়েত হওয়াই নিষিদ্ধ ছিল। ২১ও বাঁধার মধ্যেই ছিল বেশ কিছুটা। পুজোর সময়ে তাই দেখা গিয়েছিলো, বড়দিনে তো বটেই। কিন্তু ২০২২ যেন বাঁধন ছাড়া। দেদার ভিড় পুজোপার্বনে। ভিড় ক্রিসমাস থেকে ৩১ ডিসেম্বর। যদিও করোনার নতুন রূপ বিএফ-৭ চোখ রাঙাচ্ছে। তবু যতক্ষণ চরম বার্তা না আসছে বাঙালি টসকাবে না। কাজেই রবিবার রাতটি ছিল কলকাতার বাঙালির কাছে ফিরে পাওয়া বড়দিন। কপোত কপোতিরা অনেকেই বেরিয়েছে। তবে সকলেই যে পার্ক স্ট্রিট বা সাহেব পাড়ায় গিয়েছে এমন নয়।

অনেকেই নিজের মহল্লায় বা বন্ধুদের বাড়িতে বা নতুন জুটিরা বাড়িতেই সন্ধ্যা থেকে রাত কাটিয়েছে। বাঙালির আজ পয়সা কোথায়? একেবারে বড় চাকুরিজীবীদের কথা আলাদা অথবা ব্যবসায়ীদের বা পেশাদারীদের হয়তো বড়দিনে বড় খরচ করার সামর্থ আছে কিন্তু মধ্যবিত্ত বাঙালি যাবে কোথায় ? একেকটা রেঁস্তোরায় একেকজনের খরচ ১৫০০/- থেকে ১৮০০/- , সূরার দাম তো আলাদা। কোথায় পাবে এই খরচ | করোনা কেড়ে নিয়েছে সব। বিশ্বে বেকারত্ব বেড়েছে, সামগ্রিক অর্থনৈতিক সংকট, নিয়ে জানালেন ঋতম শতাব্দী জুটি। কাজেই বাড়িতে রান্না করে বা অপেক্ষাকৃত কম দামি হোটেলের খাবার আনিয়ে খাওয়া দাওয়া সারো। তাই রাস্তায় মহল্লায় কিংবা বাড়িতে সারতে হলো বড়দিন।


Follow us on :